TMCP

রাজ্যের অনুমতি ছাড়া সিইউ-র সিন্ডিকেট, ক্ষোভ টিএমসিপি-র

তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) তার বিরুদ্ধে প্রথমে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের মূল গেট আটকে ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ দেখায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:২০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

উচ্চ শিক্ষা দফতরের অনুমতি ছাড়াই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সিন্ডিকেট বৈঠক করলেন।

Advertisement

তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) তার বিরুদ্ধে প্রথমে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের মূল গেট আটকে ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ দেখায়। টিএমসিপি নেতা অভিরূপ চক্রবর্তীর দাবি, বৈঠক অবৈধ। অন্তর্বর্তী উপাচার্যও অবৈধ। তিনি রাজ্যপালকে মামলা লড়ার জন্য টাকা দিচ্ছেন। অভিরূপ বলেন, “আমরা এই উপাচার্যকে বৈধ বলে মানি না। ঠিক করেছি, এই বছর সরস্বতী পুজোয় এই অবৈধ উপাচার্যের কাছ থেকে কোনও টাকা নেব না।"

আগে চেয়েও অনুমতি না পাওয়ায়, এ বার সিন্ডিকেট বৈঠকের জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের অনুমতি চাওয়াই হয়নি। গত কয়েক মাস ধরে উচ্চ শিক্ষা দফতর জানিয়ে আসছে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় সিন্ডিকেট, এগ্‌জ়িকিউটিভ কাউন্সিলের মতো নীতি নির্ধারক কোনও বৈঠক করা আইনানুগ নয়। এই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতর অনুমতি দিচ্ছে না। এ বারও উচ্চ শিক্ষা দফতর তা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানায়। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় তা গ্রাহ্য করেনি।

Advertisement

এ দিন আধিকারিক এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের পদোন্নতি, স্নাতক স্তরের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী পরীক্ষা-সহ মোট ৫২টি বিষয় আলোচ্য সূচিতে ছিল। পরে আরও ১০টি বিষয় যোগ হয়। রাত ৯টা নাগাদ বৈঠক শেষে অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-সহ অন্য সিন্ডিকেট সদস্যেরা বেরনোর মুখে আবার টিএমসিপির বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

পরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য বলেন, “বৈঠকে টেবিল আইটেম-সহ মোট ৬২টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” ছাত্র বিক্ষোভের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “বিক্ষোভ যাঁরা দেখিয়েছেন আমার মনে হয় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়া নন। কিছু স্নাতক স্তরের এবং কিছু প্রাক্তন পড়ুয়া রয়েছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement