SSC Recruitment

স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন, এসএসসির পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যানকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট

সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘‘ওই চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে হেফাজতে নেওয়া দরকার।’’ আগামী বুধবার রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৯
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট —ফাইল চিত্র।

বেআইনি ভাবে স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিনকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘‘ওই চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে হেফাজতে নেওয়া দরকার।’’ আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা। বেআইনি নিয়োগ নিয়ে আরও তদন্ত শুরু করেছে তারা। সেই তদন্তে উঠে আসে এসএসসির পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যানও স্ত্রী জাসমিন খাতুনকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ওই চাকরি পাইয়ে দেন স্ত্রীকে। আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে পরীক্ষা দেন সিরাজের স্ত্রী জাসমিন। ২০১৫ সালে ওই চাকরির প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। অভিযোগ, ২০১৯ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ সেই প্যানেল থেকেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন জাসমিন নামে ওই চাকরিপ্রার্থী। যা নিয়ে সোমবার বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন।’’

বস্তুত, মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার গোথা এ রহমান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আশিস তিওয়ারি। একই স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। অভিযোগ ওঠে, অন্যের নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র জাল করে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ। ওই মামলায় হাই কোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছে যে, আপাতত স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না অনিমেষ। কোনও বেতনও পাবেন না তিনি। একই মামলায় স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বসুর মন্তব্য ছিল, ‘‘জেলা স্কুল পরিদর্শকরা যুক্ত না থাকলে এই রকমের দুর্নীতি হতে পারে না। এক জন ভুয়ো শিক্ষক ২-৩ বছর ধরে চাকরি করছেন, বেতন পাচ্ছেন। আর জেলা স্কুল পরিদর্শকরা তা জানেন না, এটা কী ভাবে সম্ভব?’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement