—ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সিট গঠন করে যৌথ তদন্তের নির্দেশেই আপত্তি জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আগামী বুধবার ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
গত সপ্তাহে সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের এসপি এবং সিবিআইয়ের এসপি পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সিটের সদস্য হিসাবে রাজ্য আইপিএস অফিসার জসপ্রীত সিংহের নাম আদালতে জমা দেয়। সিবিআই অবশ্য সেই নির্দেশের পর এখনও পর্যন্ত কারও নাম জমা দেয়নি।
এই প্রেক্ষিতে সোমবার ইডি ওই সিটের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে। হাই কোর্টে তাদের আবেদন, ওই ঘটনার তদন্তভার কেবল সিবিআইকেই দেওয়া হোক।
সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হওয়ার পর ইডি আদালতে জানিয়ে দেয়, রাজ্য পুলিশের উপর তাদের ভরসা নেই। এমনকি, তথ্যবিকৃতিরও আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা। ইডির আইনজীবীর আবেদন ছিল, সিবিআই কিংবা কোনও ‘নিরপেক্ষ সংস্থা’ দিয়ে তদন্ত হোক। অন্য দিকে, রাজ্য জানায় পুলিশ নিজের কর্তব্য পালন করেছে। তারা নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করেছে এবং বেশ কয়েক জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এই প্রেক্ষিতে ১৭ জানুয়ারি, বুধবার সন্দেশখালির ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। নির্দেশে বলা হয় সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের এক জন করে এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। তবে ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে বসিরহাট পুলিশ জেলার ন্যাজাট থানার কোনও পুলিশ আধিকারিক বা কর্মী থাকতে পারবেন না।