বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় পুলিশের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, বাঁকুড়ার রাইপুরে বিজেপির সভাস্থল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের ঘাটতি মেটাবে সিআরপিএফ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে তারা। কত বাহিনী প্রয়োজন রাইপুর থানার সঙ্গে সমন্বয় করে তা ঠিক করবে সিআরপিএফ।
স্বাধীনতা সংগ্রামী আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী স্মরণে রাইপুরে একটি সভার আয়োজন করে বিজেপি। মঙ্গলবার ওই সভাটি হওয়ার কথা। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ ওই সভার অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা সমীর মুর্মু। তাঁর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এবং শ্রীজীব চক্রবর্তীর সওয়াল, মাওবাদী প্রভাবিত হিসাবে পরিচিত একটি এলাকায় সভা হচ্ছে। শুভেন্দু জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। এমন এক ব্যক্তি যেখানে যাবেন, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া রাজ্যের দায়িত্ব। একই সঙ্গে তাঁরা আদালতকে জানান, খাতড়ার এসডিপিও প্রথমে সভার অনুমতি দিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করে নেন।
রাজ্যের আইনজীবী জানান, ওই সভায় শুভেন্দু যে অংশ নেবেন, আবেদনে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। এমনকি, আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার স্মরণে যে সভা হবে, এ কথাও বলা হয়নি আবেদনে। তাই প্রথমে অনুমতি দিয়েও পরে তা বাতিল করা হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তির পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিশেষত মাওবাদী এলাকায়। পুলিশ এ কাজে অসমর্থ হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। পরে কেন্দ্রীয় বাহনীকেই সভায় উপযুক্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেয় আদালত।
একই সঙ্গে বিজেপিকে শান্তিপূর্ণ ভাবে সভা করতে বলে হাই কোর্ট। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, শান্তিপূর্ণ ভাবে ওই সভা করতে হবে। গত ১০ নভেম্বর খাতড়ার এসডিপিও অনুমতিপত্রে যে যে শর্ত দিয়েছিলেন তা পালন করতে হবে আয়োজকদের। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব বলেন, ‘‘রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা যে ঠিক নয় এটি তার একটি উদাহরণ। এর ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।’’