মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে কমিশনের জবাব চেয়েছে আদালত। ছবি: প্রতীকী
কর্মশিক্ষায় অতিরিক্ত পদ (‘সুপার নিউমেরারি’) নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই পদে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) কাউন্সেলিংয়ের যে তালিকা দিয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে কমিশনের জবাব চেয়েছে আদালত।
এসএসসি সম্প্রতি ৭৫০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। কর্মশিক্ষায় অতিরিক্ত পদ তৈরি করে সেখানে নিয়োগের জন্য ওই তালিকা। সোমবার সেই তালিকা নিয়েই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, ‘‘খুবই সন্দেহজনক তালিকা। প্রয়োজনে স্থগিতাদেশ দেব। উড়িয়ে দেব তালিকা। ইচ্ছা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছে নাকি! কিছু তো কারচুপি হয়েছে!’’
এই বিষয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে কমিশনের জবাব চেয়েছে আদালত। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, ‘‘ওয়েটিং লিস্টে কত জন রয়েছেন? কম নম্বর পেয়েও কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েছেন অথচ যাঁরা বেশি নম্বর পেলেন তাঁরা বাদ পড়লেন! এটা তো বড় ভুল। এখন জানা দরকার এটা ইচ্ছাকৃত, না কি গাফিলতি!’’
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কর্মশিক্ষা বিষয়ে ৭৫০টি অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়। ওই পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিংয়ের তালিকা প্রকাশ করে ৩ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসি। তা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন জনৈক সোমা রায়। তাঁর অভিযোগ, তিনি স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টের লিখিত পরীক্ষায় ৭২ নম্বর পেয়েছেন। এখনও ইন্টারভিউ হয়নি। অথচ ৫৬ পেয়ে এক প্রার্থী চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। সোমার পাশাপাশি একই অভিযোগে অনেক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। সোমবার সেই মামলার শুনানিতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি বসু।
প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, রাজ্যে কারও চাকরি চলে যাক, সেটা চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণেই অতিরিক্ত পদ তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। ভুলক্রমে মেধাতালিকার ক্রম ভেঙে সুপারিশের কারণে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের জন্য ‘সুপার নিউমেরারি’ পদ তৈরি করে চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাব হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভায়। সেই অনুযায়ী হাই কোর্টে আর্জি দিয়ে এসএসসি জানায়, আদালতের নির্দেশ পেলে এই সুপার নিউমেরারি তালিকা মেনে নিয়োগ করা হবে।