নন্দীগ্রামে তৃণমূলের এক সভায় বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করে ফেলেন অখিল। ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যে উত্তাল দেশের রাজনীতি। এ বার তাঁর পদত্যাগের দাবিতে রাজ্যপাল লা গণেশনকে স্মারকলিপি দিল বিজেপির পরিষদীয় দল। সোমবার বিধানসভায় বিরোধী দলের ঘরে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেন বিজেপি বিধায়কেরা। সেখানেই অখিলের পদত্যাগের চিঠিতে স্বাক্ষর করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা থেকে জাতীয় পতাকা হাতে গলায় রাষ্ট্রপতির ছবি ঝুলিয়ে মিছিল করে রাজভবন যান বিজেপি বিধায়করা। মিছিলের সময় তাঁরা গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা গান ‘আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে, তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি,’ গাইলেন। শুক্রবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলের এক সভায় বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করে ফেলেন অখিল। যে হেতু রাষ্ট্রপতি আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা, সে হেতু বিষয়টিকে আদিবাসীদের অসম্মান হিসাবে তুলে ধরে বিজেপি। রবিবার দিনভর ‘স্যাকঅখিলগিরি’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে অখিলের ইস্তফার দাবিতে সরব হন বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কেরা।
রাজ্যপাল রাজভবনে না থাকায় রাজভবনের সচিবের কাছেই নিজেদের দাবিপত্র জমা দিয়ে ফিরে আসেন বিজেপি বিধায়করা। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আমরা দেখেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত কদর্য ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আক্রমণ করেছেন। তার দেখানো পথেই তার ক্যাবিনেট মন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। আসলে তৃণমূলের সংস্কৃতিতে এমনটা করলে বোধ হয় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে যাওয়া যায়। তাই তো এখনও অখিল গিরির বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “আমরা রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে। তিনি ছিলেন না, আমাদের দাবিপত্র জমা দিয়ে এসেছি। আমাদের দাবি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিন যাতে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করা মন্ত্রীকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়।” এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মৌনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা।