প্রতারণায় অভিযুক্ত দু’জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আমানতের ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে চিটফান্ডের ২৩ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ এক ইঞ্জিনিয়ার এবং তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন দু’জন। সোমবার ওই দুই জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রতারিতদের টাকা নিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’-এ যুক্ত রয়েছেন যাঁরা, তাঁরা কোনও ভাবেই রেহাই পাবেন না।
চিটফান্ডের টাকা আমানতকারীদের ফেরত দেওয়ার কাজ করছে কলকাতা হাই কোর্ট গঠিত তালুকদার কমিটি। অভিযোগ, ওই কমিটির কাছে ‘ভুয়ো’ নথি জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করেন এক ইঞ্জিনিয়ার। তাঁরা নিজেদের ‘প্রতারিত’ বলে দাবি করেন। এর পর তিনি এবং তাঁর বাবা ২৩ লক্ষ টাকা লোপাট করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই দুই অভিযুক্ত আগাম জামিন পেতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই ঘটনায় তালুকদার কমিটির কর্মী এবং অফিসারদের একাংশ জড়িত বলেও অভিযোগ।
সোমবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘‘কী ভাবে এত টাকা লোপাট হয়ে গেল? ওই কমিটির সদস্যদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে হবে পুলিশকে। কোনও অভিযুক্ত যাতে ছাড় না পান, তা দেখতে হবে। আদালত চায়, অভিযুক্তদের প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’’
চিটফান্ড সংস্থা এমপিএসের থেকে আমানত ফেরত চেয়ে আবেদন করেছিলেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। অভিযোগ, তিনি ২৪০টি ‘ভুয়ো’ আমানতের শংসাপত্র জমা দিয়ে টাকা তোলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে থানায় এফআইআর দায়ের হয়। এর পর বাবা এবং ছেলে ৭১টি শংসাপত্রের বিনিময়ে তোলা প্রায় সাত লক্ষ টাকা ফেরত দেন। বাকি ১৬৯টি শংসাপত্রের টাকা এখনও তাঁরা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ।