বাংলাদেশে বন্দি থাকা ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীর সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার দুপুরে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
প্রায় আড়াই মাস পরে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশে বন্দি থাকা ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁদের ট্রলারে চাপিয়ে গঙ্গাসাগরে নিয়ে আসা হয়। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই গঙ্গাসাগরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই মৎস্যজীবীদের সঙ্গে দেখা করেন।
জলপথে ওই মৎস্যজীবীদের গঙ্গাসাগরে নিয়ে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। গঙ্গাসাগরে পৌঁছে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কথা বলতে পারেন মৎস্যজীবীদের পরিবারের সঙ্গেও। সোমবারই নিজেদের বাড়ি ফিরতে পারেন ওই মৎস্যজীবীরা।
রবিবারই বঙ্গোপসাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমান্তে বন্দি বিনিময় করেছিল ভারত এবং বাংলাদেশ। দুই দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ ভারতের হাতে তুলে দেয় সে দেশে বন্দি থাকা ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে। আর ভারতও বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয় এ দেশে বন্দি থাকা ৯০ জন মৎস্যজীবীকে। দুই দেশের মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জলসীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগ উঠেছিল।
তার পর দুই দেশই বন্দি প্রত্যর্পণে উদ্যোগী হয়। কাকদ্বীপ এবং নামখানার মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি জানার পরেই তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তৎপর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ফোন করে ওই মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যেরা কেমন আছেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব লুৎফুন নাহার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ওই ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আটক ছ’টি ট্রলারও ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।