Dengue Infection Rate

শীতে বাগ মেনেছে ডেঙ্গি, স্বস্তি

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বরাবরই জুন মাস থেকে পুজো পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ থাকে। এ বারে পুজো ছাড়িয়ে ও ডেঙ্গির প্রকোপ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:২২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

২০২৩ সালের মতো ২০২৪ সাল জুড়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যের শীর্ষস্থানে ছিল মুর্শিদাবাদ। ২০২৪ সালের জুন মাসের পর থেকে জেলায় ডেঙ্গি আক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছিল। তবে এ বারে শীত পড়তে শুরু করায় ডেঙ্গি বাগে এসেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়।

Advertisement

এক সময় মুর্শিদাবাদে যেখানে ডেঙ্গির আক্রমণ যখন মধ্য গগনে তখন জেলায় সপ্তাহে ৩০০-৪০০ জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার নজির রয়েছে। কিন্তু গরম শেষে আবহাওয়া যত শীতল হয়েছে, ডেঙ্গি আক্রমণের সংখ্যা ততটাই কমেছে। এই মুহূর্তে জেলায় সপ্তাহে চার পাঁচ জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বরাবরই জুন মাস থেকে পুজো পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ থাকে। এ বারে পুজো ছাড়িয়ে ও ডেঙ্গির প্রকোপ ছিল। তবে এই মুহূর্তে জেলায় ডেঙ্গির সংক্রমণ নেই বললেই চলে। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, ‘‘এখন জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ নেই বললেই চলে। সপ্তাহে ৩-৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে বছরভর মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে মশারি ভিতরে ঘুমানো উচিত। স্বাস্থ্য দফতর থেকে সেই পরামর্শই দেওয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য দফতরও পুরসভা এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েতকে নিয়ে কাজ করছে।’’

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে মুর্শিদাবাদ জেলায় ১২১৯২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখানে ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা ৫৬৪৫ জন। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধেক হলেও মুর্শিদাবাদ ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যের শীর্ষে ছিল। ২০২৩ সালে মুর্শিদাবাদ জেলায় ১২৯২ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৩৯৪ জন। অর্থাৎ ২০২৩ সালে তুলনায় ২০২৪ সালে প্রায় ১০২ জন বেশি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন।

জেলার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শীত এসে গেলেও এখনও মশার দাপট যথেষ্টই রয়েছে। সন্ধ্যার পরে মশা তাদের উপস্থিতি বেশি জানান দিচ্ছে। যার ফলে মশাবাহিত রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

তবে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান মশা তো একেবারে নির্মূল হয়ে যাবে এমন নয়। মশা থাকবে। সেই মশা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পুরসভাকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর কাজ করছে। লালগোলার বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা চিকিৎসকদের কাছেই শুনেছি বরাবরই শীত এলে মশাবাহিত রোগের দাপট কমে যায়। এ বারেও শীত এসেছে তাই ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার দাপট কমেছে। তবে এ বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement