পুলিশের জলকামানের মুখে বিজেপির মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া ব্রিজে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল। আটকাতে জলকামান পুলিশের। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলে অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন দিক থেকে নবান্নমুখী মিছিল। কলকাতার কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিলের নেতৃত্বে দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবং রাজু বিস্তা। এ ছাড়াও মনোজ টিগ্গা-সহ বিজেপির আরও কয়েক জন নেতানেত্রীকে দেখা গিয়েছে মিছিলের অগ্রভাগে।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, দিলীপের নেতৃত্বে বিজেপির মিছিল রাজ্য সদর দফতর থেকে বেরিয়ে রাসমণি রোড ধরে এগোবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মিছিলের রুট বদল করে এমজি রোড ধরে হাওড়া ব্রিজের দিকে এগোনোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে শুরু করে কলেজ স্কোয়্যার— সর্বত্রই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জমায়েত হয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পায়ে পায়ে সকলেই নবান্ন যেতে প্রস্তুত। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই সরকার চোরেদের সরকার। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্ত থেকে লোকজন এসে আজ নবান্নে ঢুকে সেই দাবিই জানাবে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও যোগ্যতা নেই।’’
অন্য দিকে, সাঁতরাগাছি পৌঁছনোর আগেই পিটিএসের সামনে আটক হয়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সাঁতরাগাছিতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে।