বিজেপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে সাঁতরাগাছিতে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ছোড়া হয় জলকামানও। জগাছা থানার ওসি সতীনাথ চট্টোরাজ-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন।
জখম ওসি। নিজস্ব চিত্র।
নবান্ন অভিযানে বিজেপি নেতা-কর্মীরা আটক। প্রতিবাদে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনের সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন। পথ অবরোধ তুলতে লাঠি চালাল পুলিশ।
কলকাতার এমজি রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ।
দুুপুর ২টো ৪০ মিনিটে নবান্ন অভিযান শেষ হল, জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সাঁতরাগাছির পর হাওড়ায় উত্তেজনা। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন সুকান্ত মজুমদারের। পরে তাঁকে আটক করা হয়।
লালবাজার চত্বরে উত্তেজনা ছড়াল। আগাম ঘোষণা ছাড়াই ওই এলাকায় যায় বিজেপির মিছিল। তার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে সাঁতরাগাছির পর ধুন্ধুমার হাওড়া ময়দানে। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙলেন বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি সামলাতে জলকামান ব্যবহার পুলিশের।
সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে হাওড়া ময়দানে বিজেপির মিছিলে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙলেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস পুলিশের।
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম সাঁতরাগাছিতে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের। ইট ছোড়ার অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামলাতে পাল্টা জলকামান-কাঁদানে গ্যাস পুলিশের।
সাঁতরাগাছিতে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হবে। সঙ্গে রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ, সাংসদ রাজু বিস্ত। মহাত্মা গাঁধী রোড ধরে হাওড়া ব্রিজের দিকে যাবে বিজেপির মিছিল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে হাওড়া ময়দান থেকে মিছিল শুরু। সুকান্ত বললেন, ‘‘গুলি খেতে তৈরি।’’
শুভেন্দুকে আটক করা নিয়ে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘শুভেন্দুকে যে ভাবে আটক করা হয়েছে, তা অন্যায়।’’
সাঁতরাগাছি থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হল। নেতৃত্বে রয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু, সাঁতরাগাছি যাওয়ার পথে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে বিরোধী দলনেতাকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাওড়া স্টেশন থেকে বার হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হাওড়া ময়দান থেকে মিছিল শুরু করার কথা তাঁর। সুকান্তের সঙ্গে রয়েছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করার পর প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হল।
সাঁতরাগাছিতে মিছিল শুরু করতে যাওয়ার আগেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিন্হাকে আটক করল পুলিশ। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার। পুলিশের ব্যারিকেডে ধাক্কা মারতে দেখা যায় শুভেন্দুকে।
সাঁতরাগাছি যাওয়ার আগে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে আটকে দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।
কিছু ক্ষণ পরেই শুরু বিজেপির নবান্ন অভিযান। যোগ দিতে নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে বেরোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নবান্ন অভিযানে পুলিশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি পশ্চিমবঙ্গে এত পুলিশ এল কোথা থেকে! কয়লার গাড়ি, গরুর গাড়ি যাচ্ছে তখন পুলিশ দেখা যায় না। পাড়ায় অশান্তি, বোম পড়লে থানায় ফোন করলে বলে ফোর্স নেই। আজ বিজেপির কর্মসূচি রয়েছে। এত পুলিশ কি বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছে নাকি! আমরা মিটিং করলে নাকি ঝাড়খন্ড থেকে লোক নিয়ে আসি। আজ তা ঠেকাতে তৃণমূলকে বিহার, ঝাড়খন্ডের পুলিশ আনতে হচ্ছে নাকি? যদি এত পুলিশ থাকে তাহলে বাংলায় এত অপরাধ হচ্ছে কেন? গুজরাতের পুলিশ এখান থেকে মাদক পাচারকারীদের ধরে নিয়ে যায়, মিজোরামের জঙ্গি ধরা পড়ে এখানে, পুলিশ কী করে তখন? কেবল বিজেপিকে আটকানোর জন্য আছে? রাস্তা খুঁড়ে ব্যারিকেড লাগিয়েছে। বিজেপি কার্যকর্তারা উগ্রপন্থী নাকি? আমরা গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে যাচ্ছি, করব। যদি বাধা আসে রাস্তায় বসে ধর্না দেব, অবরুদ্ধ করব। আমরা মারপিট করতে আসিনি। ইচ্ছা করে পুলিশ দিয়ে তৃণমূল উত্তেজনা ছড়িয়ে বিজেপিকে বদনাম করতে চেষ্টা করছে। সেটা আমরা করতে দেব না’’।