অল্লু অর্জুন আর শ্রেয়স তলপড়ে ‘পুষ্পা’ ছবিতে ক্যামেরার সামনে পিছনে। ছবি: ফেসবুক।
অভিনেতা শ্রেয়স তলপড়ে নন, কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়স তলপড়ে বছর শেষে বহুল প্রশংসিত। তিনি ‘পুষ্পা ২’-এ নায়ক অল্লু অর্জুন অভিনীত চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। ছবি ব্লাকবাস্টার। অনুরাগীরা ছবিমুক্তির দিন সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে অল্লুর প্রায় পুজো করেছেন। ব্যতিক্রম একটিই, হিন্দি ‘পুষ্পা ২’-এ নায়কের পাশাপাশি তাঁর চরিত্রের কণ্ঠশিল্পী (ডাবিং আর্টিস্ট)ও সমান প্রশংসিত।
শ্রেয়স যারপরনাই আপ্লুত। খুশি এই প্রচার এবং প্রশংসায়। কিন্তু শ্রেয়সের মতো ভাগ্য ক’জন কণ্ঠশিল্পীর হয়? ক’জন তাঁদের স্বীকৃতির উপযুক্ত মর্যাদা পান। এ প্রসঙ্গে পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘বাড়িওয়ালি’র কথা বলা যেতেই পারে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কিরণ খের। সেই চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী রীতা কয়রাল। তিনি সে সময়ে বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি পাননি।
এই জায়গাটিই সম্প্রতি ছুঁয়েছেন শ্রেয়স। তিনি প্রশংসায় যতটা ভিজেছেন ততটাই মনখারাপ তাঁর। মনখারাপ বাকি কণ্ঠশিল্পীদের জন্য। যাঁদের পরিশ্রম একজন নায়ক বা নায়িকার সমান। কিন্তু তাঁরা স্বীকৃতি পান না। আড়ালে থেকে যান। এঁদের স্মরণ করে শ্রেয়সের দাবি, “কণ্ঠশিল্পীরা তারকাদের থেকে কোনও অংশে কম নন। বরং ছবির জনপ্রিয়তায় তাঁদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। আফসোস, তাঁরা আদর বা কদর কোনওটাই পান না। এমনকি পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও বৈষম্য। যা কাম্য নয়।”
অভিনেতার তাই অনুরোধ, এ বার বোধহয় কণ্ঠশিল্পীদের কথা ভাবার সময় এসেছে। ওঁরা অনেক যুগ ধরে বঞ্চিত। বিনোদন দুনিয়া কণ্ঠশিল্পীদের ছাড়া সম্পূর্ণ নয়। বিনোদন দুনিয়া কি বিষয়টি নিয়ে ভাববে?