শাহ-মমতার বৈঠক নিয়ে কৌতুহল মেটালেন শুভেন্দু। —ফাইল চিত্র।
নবান্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যোগ দিয়েছিলেন পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। তবে সেই বৈঠক নিয়ে যত না জল্পনা, তার চেয়েও অনেক বেশি কৌতূহল নবান্নের ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে কী নিয়ে কথা হল শাহের? এমন প্রশ্ন নাকি শাহকে করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার জবাবে শাহ জানিয়েছেন কথা হয়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর চৌকির জমি দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়েই। শাহের জবাব জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু বলেন, ‘‘নবান্নের চোদ্দ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের আলাদা করে কোনও রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই।’’
শুক্রবার রাতে কলকাতায় এসে প্রথমে বিজেপির রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন শাহ। তবে শনিবার শুধু নবান্নেই গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সোজা বিমানবন্দরে। দিল্লিগামী বিমান ধরার আগে শুভেন্দু ছাড়াও কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। সুকান্ত আলাপচারিতা নিয়ে কিছু না বললেও তাঁর সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানাতে গিয়ে শুভেন্দু নিজে থেকেই বলেন, ‘‘আমি ওঁর সঙ্গে দেড়-দু’মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। বিরোধী দলনেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম। উনি আমাকে বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠকে উনি বিএসএফের ৭২টা চৌকির প্রসঙ্গ তুলেছেন।’’ এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দু আরও জানান, বিএসএফের ৭২টি চৌকির জন্য প্রয়োজনীয় জমি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বিএসএফের বোঝাপড়া মজবুত করাও প্রয়োজন। সেটা বলতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা কথা হয় শাহের। রাজ্য যাতে বিএসএফকে সব রকম ভাবে সাহায্য করে— শাহ সে কথাও মমতাকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু।
মমতার সঙ্গে শাহের বৈঠক নিয়ে বিজেপি কর্মীদের তো বটেই নেতাদের মনেও নানা কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সেই কৌতূহল মেটাতেই কি শুভেন্দু তাঁর সঙ্গে শাহের আলাপচারিতা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান? এমন প্রশ্নও তৈরি হয়েছে। কিছু দিন আগেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বিরোধী দলনেতার যাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। এর পরে শাহ-মমতা বৈঠক নিয়ে সিপিএম বা কংগ্রেসও বোঝাপড়ার প্রশ্ন তুলতে পারে। রাজ্যে তৃণমূল বিজেপি সংঘাত যখন চরমে তখন বৈঠক জল্পনা নির্মূল করতেই কি শুভেন্দু যেচে শাহের বক্তব্য জানিয়ে বৈঠকের বিষয় সামনে নিয়ে এলেন? এমন প্রশ্ন রয়েই গেল। তবে ১৬ মিনিটের বৈঠকে ঠিক কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা জানেন শুধু সেখানে হাজির দুই দলের দুই শীর্ষ স্তরের রাজনীতিক।