এ বার শুভেন্দুর সভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের বাড়িতে প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা ঘোষণা করল তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
দিন কয়েক আগেই শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বার সেই মৃতদের বাড়িতে প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা ঘোষণা করল তৃণমূল। রবিবার দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তা ও যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ মৃতদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করবেন।
বুধবার আসানসোলে কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন আসানসোল পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালি তেওয়ারি। যদিও পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটার আগেই ঘটনাস্থল থেকে চলে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই ঘটনায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্যের সে আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের নির্দেশ পরিবর্তন করার আর্জিও জানানো হয়। প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ ছিল, ভবিষ্যতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। যা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল তৃণমূল।
প্রশাসনিক ভাবে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার পাশাপাশি, তাঁর উপর রাজনৈতিক চাপও বাড়াতে চায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তাই রবিবার সেখানে গিয়ে তৃণমূলের ৫ প্রতিনিধি যেমন নিহতদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলবেন, তেমনই আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে পারেন তাঁদের হাতে। পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমে ওই দিনের সভার আয়োজন নিয়ে বিজেপি কাউন্সিলর ও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেও সরব হতে পারেন তাঁরা।