বাংলার মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম বলে দাবি দিলীপের। ফাইল চিত্র
বাংলার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নেই। অর্থাৎ, তারা গরিব। এমনই মনে করেন দিলীপ ঘোষ।
কেন এমন মনে করেন দিলীপ? মনে করেন, কারণ, বাংলার বাসিন্দারা নিজের পয়সায় বাড়ি বানাতে পারে না। চাল কিনে খেতে পারে না। জ্বালানি বারান্নার গ্যাসের দাম বাড়লে তা কিনতে পারে না। উদ্দেশ্য ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে রাজনৈতিক আক্রমণ। কিন্তু তা করতে গিয়ে প্রকারান্তরে বাঙালিকেই ‘গরিব’ বলে বসলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ। বাংলার সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন!বৃহস্পতিবার টুইটারে তাঁর দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গের লোকের ক্রয়ক্ষমতা কম। তাই জন্য পেট্রল, ডিজেল এবং এলপিজি-র দাম বাড়ালে এই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি চিন্তা হয়।’
এমন কথা অবশ্য আগেও বলেছেন দিলীপ। অতীতেও বহু বার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় তিনি দাবি করেছেন, বাংলার বাইরে অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের কিন্তু বেশি দামে জ্বালানি কিনতে কোনও অসুবিধা হয় না। সমস্যা হয় না। আসলে বাঙালির ক্রয়ক্ষমতাই কম। বৃহস্পতিবার টুইটারে সেই দাবিতে আরও আক্রমণাত্মক দিলীপ। তিনি লিখেছেন, ‘এখানে ব্যবসা নেই, চাকরি নেই, উপার্জন নেই।’ রাজ্য সরকারের সেই নিন্দার সূত্রেই তিনি লিখেছেন, ‘এখানে আবাস যোজনায় বাড়ি সবচেয়ে বেশি আসে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা দিতে হয় একশো দিনের প্রকল্পে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।’ আরও লিখেছেন, ‘৫০০ টাকার ভাতার জন্য হাজার হাজার লোককে লাইন দিতে হয় বাংলায়।’
দিলীপ তাঁর টুইটে সরাসরি বাঙালিকে ‘গরিব’ বলেননি ঠিকই। কিন্তু প্রকারান্তরে তিনি বুঝিয়েছেন, বাঙালির হাতে টাকা নেই। রাজ্য বিজেপি সভাপতির টুইট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যের জন্যই প্রকল্প চালায়। তার সুযোগ বাংলার মানুষের বেশি প্রয়োজন বলাটা প্রকারান্তরে তাদের অপমান করা। বিজেপি অবশ্য এই সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। রাজ্যের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, ‘‘দিলীপদা রাজ্যের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম বলে আদৌ কাউকে অপমান করেননি। কী ভাবে তৃণমূল সরকার রাজ্যের অর্থনীতির হাল বেহাল করেছে, টুইটে সেটাই উনি তুলে ধরেছেন।’’