নিজস্ব চিত্র
পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমানোর দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় থাকা ছাত্রছাত্রীদের ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘স্ট্রেস নেবে না। স্ট্রেস নিলেই সব ভুলে যাবে। ঘনঘন রেগে যাবে। তাই মানসিক চাপ নিলে হবে না। মনে রাখবে আমরা যখন চিৎকার করি, তখন অনেক সেল নষ্ট হয়ে যায়। তাই রাগ করলে হবে না। শান্তি বজায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।’’
দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা নেই। পড়াশোনার চাপও রয়েছে। পড়ুয়াদের মানসিক চাপের প্রসঙ্গ বার বার উঠেছে। সেই নিয়ে মমতার দাওয়াই, ‘‘এক জায়গায় বসে থাকার বদলে মাঝে মাঝে হাঁটা চলা করবে। অনেকের সঙ্গে কথা বলবে। সবসময় পড়াশোনা করতে হবে, এমন তো নয়। ব্রেক নেবে। এ ছাড়া মন অন্য দিকে চালিত করতে হবে কখনও কখনও। ভাল গান শুনতে হবে। ইচ্ছা হলে পড়ার মাঝে এক বার রান্না ঘরে গিয়ে মা’কে জিজ্ঞাসা করে আসতে পারো, কী রান্না হচ্ছে? মাঝে মাঝে তোমরা দিঘাও ঘুরে আসতে পার!’’ এর আগে ডাব্লিউবিসিএসে সফলদের শুভেচ্ছা জানানোর একটি সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘মানসিক চাপ অনুভব করলে খোলা খাতায় হিজিবিজি লিখলেও কাজ হয়।’’
রাজ্যের সব জেলার কৃতী পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বলেন মমতা। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত এ বারে অনুষ্ঠান হয়েছে ভার্চুয়ালি। বৃহস্পতিবারই সূচনা হয় ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের। কৃতী পড়ুয়াদের হাতে উপহারও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নেন, সকলের কাছে সরকারের উপহার পৌঁছেছে কি না। সেই সূত্র ধরেই মন্তব্য করেছেন, কারও পড়াশোনা বন্ধ হবে না, সরকার খেয়াল রাখবে। বলেছেন, ‘‘দুঃখটাকে জয় করতে হবে। জীবনে সুখ যেমন আছে, দুঃখও আছে। রোদ যেমন আছে, বৃষ্টিও আছে। হতাশ হলে চলবে না। ইতিবাচক থাকতে হবে।’’