ফাইল চিত্র।
ভোটের দিন শুধুমাত্র নিজের দায়িত্বে মন দিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিল তৃণমূল। কোনও অবস্থাতেই দলের এজেন্টরা যেন বুথ না ছাড়েন সে ব্যাপারেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। যত বেশি সম্ভব ভোটার যাতে বুথে পৌঁছন, দলের তরফে সে দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। বুধবার দিনভর একই প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি ও বামেরাও।
সোমবার প্রচারপর্ব শেষ হওয়ার পর থেকেই ভোটের দিনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল। দু’দফায় দলের নির্বাচনী এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোটের দিনের করণীয় ব্যাখ্যা করেছেন দলের দুই শীর্ষ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সী। মঙ্গলবারও এজেন্টদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গোটা কেন্দ্রে ভোটের দায়িত্বে থাকা দলের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। পার্থবাবু বলেন, ‘‘যত বেশি সম্ভব ভোটার ভোট দিতে পারেন তা-ই নিশ্চিত করতে হবে সকলকে। বিরোধীরা প্ররোচনা দিলেও তা এড়িয়ে প্রত্যেককেই নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’’
এ দিন দলের হেস্টিংসের অফিসে বসে সাংগঠনিক দায়িত্ব পর্যালোচনা করেছে বিজেপিও। ভবানীপুরে দলের প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ছাড়াও রাজ্য নেতাদের অনেকেই ভোটের দিনের প্রস্তুতি দেখভাল করেছেন।
একই ভাবে এ দিন বামফ্রন্টের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে ভবানীপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন সিপিএম নেতারা। পরে দলের তরফে রবীন দেব, সুশান্ত ঘোষের মতো নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সিপিএমের বক্তব্য, প্রচার শেষ হওয়ার পরেও বিধি ভেঙে নীরবে সে কাজ করছে তৃণমূল। ভোটের দিন যাতে ভবানীপুরে ‘বাইরের লোক’ ঢুকতে না পারে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে বামেরা।