গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নয়, শাসকদল তৃণমূলের আইন চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে এমনই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের দাবির পক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মন্তব্যকে ঢাল বানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার মমতার সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দুর দাবি, মানবাধিকার কমিশনের কমিটি জানিয়েছিল রাজ্যে পরিস্থিতি এমনই যে এখানে আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন বলবৎ রয়েছে।
নিজের টুইটে ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়েও রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ভূমিকা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে ভুল করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। নিজের টুইটে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেন শুভেন্দু। তিনি লিখেছেন, ‘মহামান্য কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, মুখ্যসচিব নিজেকে সরকারি আধিকারিকের থেকে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী হিসাবেই উপস্থাপনা করেছেন।’
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মতপ্রকাশ করে কমিশনকে সুপারিশ করে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যসচিব। মুখ্যসচিবের সেই সুপারিশ ভবানীপুরে উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছিল কমিশন। যা ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে বিজেপি। এ নিয়ে মামলা রুজু হয়েছে হাই কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট।