শাসকদলকেও কড়া বার্তা দিলেন স্পিকার।
বিধানসভায় হইচই নিয়ে বিরোধীদের পাশাপাশি শাসকদলকেও কড়া বার্তা দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এ সব ক্ষেত্রে শাসকদলের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। পাশাপাশি বিমান বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি আরও কঠোর হবেন।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। স্লোগান দেন, ‘চোর ধরো, জেল ভরো।’ কয়েক জন ওয়েলের কাছে নেমে আসেন। কম যাননি শাসকদলের বিধায়করা। তাঁরা নবান্ন অভিযানে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে পোস্টার দেখান। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘৫৬ ইঞ্চির ছাতি টেল, ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেল।’
বিধানসভার এই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন স্পিকার। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভার ভিতরে সদস্যেরা কেমন ব্যবহার করবেন, তা আচরণবিধিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে। মাননীয় সদস্যদের বার বার বলা সত্ত্বেও তাঁরা সেটা মানতে চাইছেন না। মাঝেমাঝে মনে হয়, আমি খুব কড়া পদক্ষেপ করতেই পারি, কিন্তু তাতে বিধানসভার কাজকর্মের ক্ষতি হবে। সারা ভারতে বিভিন্ন বিধানসভায় এ ধরনের বিধি ভাঙার প্রবণতা রয়েছে, যা আমি উচিত বলে মনে করি না। পরিষদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে বিষয়টি ভালও নয়।’’
একই সঙ্গে বিমান বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধু বিরোধীরাই নয়, প্রয়োজন পড়লে তিনি শাসকদলের প্রতিও কড়া হবেন। তাঁর কথায়, ‘‘এ ধরনের আচরণ কারও করা উচিত নয়। বিশেষ করে সরকার পক্ষের এ সব থেকে বিরত থাকা উচিত। হাউস বিলং টু অপজিশন। বিরোধীরা তো করবেই। সরকার পক্ষের কাছে এ সব প্রত্যাশিত নয়।’’ বিধানসভার বাইরে শাসক এবং বিরোধী দলের তরজাতেও তিনি নাক গলাতে রাজি নন। বিমানের কথায়, ‘‘ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে কথা বলব না। বিধানসভার বাইরের কথা নিয়ে আমি কিছু বলব না। বিরোধীদের যেমন প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে, তেমন শাসকদলেরও রয়েছে। আমি মন্তব্য করব না।’’