ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে কল্যাণময়কে। ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে পেলে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। এমনটাই খবর সূত্রের।শুক্রবারই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময়কে আলিপুরের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়েছে। অন্য দিকে, পার্থকেও ইডির কাছ থেকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, অশোক সাহার পর গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বাগ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, উপদেষ্টা কমিটি থেকেই ভুয়ো সুপারিশ যেত। স্কুলে চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে। আর সে সময় পর্ষদের শীর্ষে ছিলেন কল্যাণময়ই।
২০১২ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির প্রশাসক হন কল্যাণময়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন তিনি। সেই বছরই তাঁকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি করা হয়। চলতি বছরের ২২ জুন ওই পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। পাশাপাশি, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থের তৈরি করে দেওয়া উপদেষ্টা কমিটিরও অন্যতম সদস্যও ছিলেন কল্যাণময়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্যানেলের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরে শূন্যপদের তথ্য নিয়ে বেআইনি ভাবে সেই তথ্য কাজে লাগান এসএসসির উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ এবং সুপারিশপত্র ছাপানোর কাজ করেছিলেন সমরজিৎ আচার্য। শান্তিপ্রসাদ নিজে নাকি সেই ভুয়ো সুপারিশপত্র কল্যাণময়কে দিতেন। কল্যাণময় সেই সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েককে দিয়ে নিয়োগপত্র তৈরি করতেন। পার্থ এবং কল্যাণকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে সংশ্লিষ্ট মামলায় অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।