সিজিও কমপ্লেক্সে বসিরহাটের ডিএসপি। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে তদন্ত নেমে এ বার কলকাতায় ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছল বসিরহাটের পুলিশ। সন্দেশখালির ঘটনায় তল্লাশি অভিযানে যাওয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড করতেই বসিরহাটের ডিএসপি-র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সিজিওতে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে রয়েছে পুলিশের ক্যামেরাম্যানও।
সন্দেশখালি কাণ্ডে ন্যাজাট থানায় মোটি তিনটি এফআইআর হয়েছে। যার মধ্যে, একটি অভিযোগ ইডির তরফে করা হয়েছিল। পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরব ভারিল সেই অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিয়োও জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই গৌরবের বয়ান রেকর্ড করতে চেয়ে সোমবার এবং বুধবার ইডিকে দু’টি ইমেল পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেই বয়ান রেকর্ড করতেই বুধবার ১২টা নাগাদ বসিরহাট পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্সে যায় বলে সূত্রের খবর। তবে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর বয়ান রেকর্ডের জন্য উপস্থিত না থাকার কারণে কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্স ছেড়ে বেড়িয়ে যায়।
অন্য একটি এফআইআরে অভিযুক্ত খোদ ইডি। সন্দেশখালির যে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডি অভিযানে গিয়েছিল, সেই শাহজাহান শেখের বাড়ির এক কর্মচারী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। শাহজাহানের ওই কর্মচারীর অভিযোগ, কোনও বৈধ তল্লাশি পরোয়ানা ছাড়া তৃণমূল নেতার বাড়িতে এসে তালা ভেঙেছেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও দায়ের করেছেন শাহজাহানের কর্মচারী। ন্যাজাট থানায় সেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্য দিকে, ঘটনাস্থল ঘুরে এসে পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়ো মোটো) অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রতিটি অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে খবর। পুরো বিষয়টি বিশদে খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্তও শুরু হয়েছে।