Suchana Seth

বালিশ চাপা দিয়েই চার বছরের সন্তানকে খুন? হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন বেঙ্গালুরুর সিইও

পুলিশ সূত্রে খবর, সন্তানকে খুনের পর তার দেহ একটি ব্যাগে পুরে গোয়া থেকে কর্নাটকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সূচনা। তিনি যে হোটেলে ছিলেন, সেখান থেকেই ট্যাক্সি ভাড়া করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:১৩
Share:

(বাঁ দিকে) সূচনা শেঠ। (ডান দিকে) গোয়ার এই হোটেলেই সন্তানকে খুন করেন বলে অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত। —ফাইল চিত্র ।

শুধু সন্তানকে খুনই নয়, আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপের সিইও সূচনা শেঠ। চার বছরের পুত্রসন্তানকে খুনের ঘটনার তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূচনার সন্তানের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কর্নাটকের হিরিউর হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক কুমার নায়েক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, গোয়ার সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে বালিশ চাপা দিয়েই নিজের ছেলেকে খুন করেন সূচনা।

Advertisement

চিকিৎসকের কথায়, ‘‘সম্ভবত বালিশ জাতীয় কোনও জিনিস দিয়ে শ্বাসরোধ করার কারণে শিশুটির মৃত্যু হতে পারে। শিশুটিকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। খুনের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য এসেছে। শ্বাসরোধের কারণে দেহটির মুখ ও বুক ফুলে গিয়েছে। শিশুটির নাক দিয়ে রক্তপাতও হয়েছিল।’’

অন্য দিকে, পুলিশ এ-ও জানিয়েছে, উত্তর গোয়ার ওই সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে চার বছরের পুত্রসন্তানকে হত্যা করার পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সূচনা। হাতের শিরা কেটে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেই রক্তই সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের ঘরের মেঝেতে এবং তোয়ালেতে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সন্তানকে খুনের পর তার দেহ একটি ব্যাগে পুরে গোয়া থেকে কর্নাটকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সূচনা। তিনি যে হোটেলে ছিলেন, সেখান থেকেই একটি ট্যাক্সি ভাড়া করেন তিনি। মাঝপথেই তাঁকে আটক করে গোয়া পুলিশ। নিহতের বাবা ইন্দোনেশিয়া থেকে ফেরার পর দেহ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ছেলেকে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই সূচনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

২০১৯ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সূচনা। ২০২০ সালে স্বামী বেঙ্কট রমনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয় তাঁর। সেই সম্পর্কের ফাটল দিনে দিনে আরও বেড়েছিল। তার শেষ পরিণতি হয় বিবাহবিচ্ছেদ। সূচনা এবং বেঙ্কট বিবাহবিচ্ছেদের পথ বেছে নেন। কিন্তু পুত্র কার কাছে থাকবে তা নিয়েও একটা প্রশ্ন তৈরি হয়। কিন্তু আদালত সন্তানকে মায়ের হেফাজতে রাখারই অনুমতি দিয়েছিল। তবে প্রতি সপ্তাহে রবিবার বাবাকে পুত্রের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, পুত্রকে নিজের কাছে রাখলেও একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকতেন সূচনা। এই বুঝি পুত্রকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বেঙ্কট! সেই আতঙ্ক ক্রমশ গ্রাস করেছিল সূচনাকে। পুত্রকে যদি নিজের কাছে না রাখতে পারেন, তা হলে কারও হতে দেবেন না, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, এই ধারণাই কাজ করেছিল সূচনার মধ্যে। আর সেই চিন্তাভাবনা থেকেই কি খুন করলেন সন্তানকে? এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement