ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে পুলিশ নিজস্ব চিত্র।
দুই শ্যালককে খুন করার অভিযোগ উঠল বাড়ির জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে জামাইকে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। যদিও মারধরের পরে কোমায় চলে গিয়েছেন অভিযুক্ত।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত নুনির বাউড়ি পাড়ায়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দুই তুতো ভাই অশোক বাউড়ি ও বুধন বাউড়ির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির জামাই হারু বাউড়ি প্রথমে দুই ভাইকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ও তার পর জলে ডুবিয়ে খুন করেন। খবর জানাজানি হতেই পালানোর চেষ্টা করেন হারু। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন।
বাঁ দিকে অশোক বাউড়ি, ডান দিকে বুধন বাউড়ি
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনকেই উদ্ধার করে। অশোক ও বুধনের দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হারুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও পরে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হারুর জ্ঞান ফিরলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় তিন জনের মধ্যে মারামারি হয়। তবে কী কারণে মারামারি তা খতিয়ে দেখছে উত্তর থানার পুলিশ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্য।