আত্মসমর্পণ করা দুই যুবক ছবি: টুইটার।
সিংঘু সীমানায় কৃষক আন্দোলন মঞ্চের কাছে এক দলিত যুবককে হাত-পা কেটে খুনের ঘটনায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন আরও দুই শিখ যুবক। এই নিয়ে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকি তিন জন আত্মসমর্পণ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণ করা দুই যুবকের নাম ভগবন্ত সিংহ ও গোবিন্দ সিংহ। শিখদের নিহং গোষ্ঠীর একটি সংগঠনের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত। দু’জনের আত্মসমর্পণের ভিডিয়ো প্রকাশ হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গলায় মালা পরে থানায় যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের হাততালি দিয়ে সম্মান জানাচ্ছেন সংগঠনের বাকি সদস্যরা।
শুক্রবার ভোরে দিল্লি-হরিয়ানা সিংঘু সীমানার কৃষক আন্দোলনের মঞ্চের অদূরে লখবীরের হাত-পা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি পুলিশের ব্যারিকেডে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাটা হাতটি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল দেহের পাশে। শিখদের নিহং গোষ্ঠীর নির্ভইর খালসা উডনা দলের নেতা বলবিন্দর সিংহ সংগঠনের তরফে খুনের দায় স্বীকার করা হয়। সর্বজিৎ সিংহ নামের এক যুবক পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি পুলিশকে জানান, পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করেছিলেন লখবীর। তাই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
লখবীরের বাড়ি পঞ্জাবের তরণ তারণ জেলার চিমা কালান গ্রামে। এই প্রসঙ্গে গ্রামবাসীদের একাংশ জানিয়েছেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় লখবীর এমন কোনও আচরণ করে ফেলেছিলেন, যা দেখে হত্যাকারীদের মনে হয়েছিল তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীর সংগঠনের সঙ্গে ওই দলিত যুবকের কোনও যোগাযোগ ছিল না। লখবীর যে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নন, তা জানিয়ে দিয়েছিলেন সিংঘু সীমানায় অবস্থানকারী কৃষক নেতারাও।