সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে আত্মঘাতী হয়েছেন সুশান্ত। এমনই দাবি করলেন ২১ বছরের ওই যুবকের পরিবার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বেশ কয়েক বছর লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই সম্পর্কে তৃতীয় জনের আগমন ঘটতেই শুরু হয় টানাপড়েন। শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন এক সঙ্গী। অন্তত পরিবারের দাবি এমনটাই। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুশান্ত বারুই। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কালনা থানার শাসপুর দিঘির পশ্চিমপাড় এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত বারুই এবং গুপ্তিপাড়ার মিরডাঙা কলোনির বাসিন্দা শঙ্কর ঢালি গত তিন বছর ধরে ‘লিভ ইন’ সম্পর্কে ছিলেন দাবি সুশান্তের পরিবারের। তাঁদের আরও দাবি, শঙ্করের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হওয়া এক যুবক সরস্বতী পুজোর সময় তাঁদের বাড়িতে আসেন। আকিব খান নামের ওই যুবকের সঙ্গে শঙ্করের ‘সম্পর্ক’ মেনে না নিতে পেরে সুশান্ত আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ।
সুশান্তের পরিবার সূত্রে খবর, কয়েক দিন আগে সম্পর্কের এই টানাপড়েন নিয়ে সুশান্ত এবং শঙ্করের মধ্যে ঝামেলা হয়। এর পর সোমবার সকালে গুপ্তিপাড়া স্টেশনের কাছে গিয়ে কীটনাশক খেয়ে নেন সুশান্ত। ওই অবস্থাতেই শঙ্করকে ফোনে করেন তিনি। শঙ্কর দ্রুত তাঁর কাছে ছুটে আসেন। সঙ্গীকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা সুশান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুশান্তের পরিবারের দাবি, আত্মহত্যার পিছনে রয়েছে ‘অন্য কোনও রহস্য’।
মৃতের দাদার কথায়, ‘‘দু’জনে (সুশান্ত এবং শঙ্কর) গত তিন বছর ধরে একসঙ্গে থাকত। পরিবারের আপত্তি ছিল। কিন্তু তাঁদের ওই সম্পর্ক থেকে বার করা যায়নি। দু’জনে স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকত। মেলামেশা করত।’’ একই দাবি করেছেন সুশান্তের মাসিও।
এই ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পদস্থ পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘এখনও মৃতের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়নি। তবে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।’’