নিজস্ব চিত্র
তরুণীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার মামা ও দিদিমা। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার লতিফপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম পায়েল খাতুন। ধৃতদের নাম জিয়ারুল রহমান ওরফে খোকন ও কুরাশিয়া বেগম। পায়েলের মা রিজিয়া বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে জিয়ারুলকে পুলিশ হেফাজতে ও কুরাশিয়া বেগমকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পরিবারের তরফে জানা গেছে, ২০ বছর আগে রিজিয়া বেগমের সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। তার পর থেকে মেয়ে পায়েলকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন রিজিয়া বেগম। অভিযোগ, মামা জিয়ারুল ও দিদিমা কুরাশিয়া পায়েলকে পছন্দ করতেন না। তাঁরা প্রায়ই পায়েলকে মারধর করত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পায়েল মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেত। কয়েকদিন আগেও পায়েল কাউকে কিছু না জানিয়ে মামার বাড়ি থেকে অন্য কোথাও চলে যায়। শনিবার সকালে পায়েলকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন জিয়ারুল। সেই সময় পায়েলের মা বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, বাড়ি নিয়ে আসার পর জিয়ারুল ও তাঁর মা কুরাশিয়া লাঠি দিয়ে পায়েলকে মারধর করে। মারের চোটেই পায়েলের মৃত্যু হয়। পায়েলের মা বাড়ি ফিরে এসে মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পায়েলের মা রিজিয়া বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জিয়ারুল ও কুরাশিয়াকে গ্রেফতার করে। যদিও রবিবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় কুরাশিয়া দাবি করেন, তাঁরা পায়েলকে মারধর করেননি। জিয়ারুল তাঁকে বকাবকি করেছিলেন। এরপর পায়েল নিজেই দেওয়ালে মাথা ঠুকতে শুরু করেন। পরে বুকে ব্যথা হচ্ছে বলে জল চান। জল খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।