অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বারাবনিতে তিনি ট্রেলার দেখালেন। পুরো সিনেমা হবে দিল্লিতে। পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনির সভা থেকে এভাবেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলার ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে আনবই। প্রয়োজনে দিল্লিতে কৃষিভবনের বাইরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্নায় বসব। ১০ লক্ষ লোক নিয়ে আমি দিল্লিতে যাব। দেখব, বিজেপি সরকারের কত দম আছে বাংলার টাকা আটকে রাখে।’’
১০০ দিনের কাজের টাকা-সহ বাংলার পাওনা একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে, এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লেখার কথা বলেছিলেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে সেই ইস্যুতে এ বার হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী না কি সব কিছুর গ্যারান্টার! কোনও দুর্নীতি হতে দেবেন না, তিনি গ্যারান্টি দিয়েছেন।’’ এর পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতা তথা আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চোর জিতেন তিওয়ারি। সব ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত। কী করেনি? সে এখন বিজেপির নেতা।’’ এর পর শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘‘এক জন ক্যামেরার সামনে হাত পেতে টাকা নিয়েছে। বিজেপি তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা করেছে। এই তো অবস্থা! যত চোর-ডাকাত, সব বিজেপিতে। এঁদের গ্যারান্টি নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।’’ রোড-শো থেকে অভিষেকের কটাক্ষ, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে আট দফায় ভোট করে ও বিজেপি হেরেছে। এবার আট দফার ভোটের জবাব দিতে হবে আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সংযোজন, ‘‘যারা বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে, তাদের কাছে মাথানত করব না। যদি মাথা নিচু করতেই তবে মানুষের কাছে করব।’’
অভিষেকের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘যখন তৃণমূল ছেড়ে যাচ্ছিলাম, দলে থাকার জন্য বার বার অনুরোধ করছিলেন। এখন আসানসোলে যেন ঢুকতে না পারি, তার ব্যবস্থা করে রেখেছে।’’ উল্লেখ্য, কম্বলকাণ্ডে জিতেন্দ্রর উপর নির্দেশ রয়েছে যে তিনি আপাতত আসানসোলে ঢুকতে পারবেন না। এ নিয়ে জিতেন বলেন, ‘‘এক বার আসানসোলে ঢোকার অনুমতিটা পাই, তার পরে বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল।’’