Mysterious Death

পশ্চিম বর্ধমানে প্রাক্তন ইসিএল কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু, খুন করা হয়েছে! দাবি পরিবারের

বুধবার রাতে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে ইসিএলের এক প্রাক্তন কর্মীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

পান্ডবেশ্বর শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ১১:০৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল খনি সংস্থা ইসিএল-এর অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মীর। বুধবার রাতে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ৬১ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম কাজল ঘোষ। কাজলের পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কাজলের আসল বাড়ি পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকার কালীপুর গ্রামে। তবে পরিবার নিয়ে তিনি থাকতেন ঝাঁঝরা খনি আবাসন এলাকায়। গ্রামের বাড়ির পাশেই নিজের নতুন বাড়ি তৈরি করছিলেন কাজল। তাঁর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, প্রতি দিনই গ্রামে বাড়ি তৈরির কাজের তদারকি করতে যেতেন কাজল। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে থেকে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা গড়ালেও তিনি বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। ফোন করা হলেও সেটি ‘সুইচ্‌ড অফ’ আছে বলে জানা যায়। কাজলের পুত্র ধ্রুব ঘোষ গ্রামের নির্মীয়মাণ বাড়িতে পৌঁছে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান। কাজলকে ফরিদপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ধ্রুবের দাবি, কাজলের মাথার পিছনে ঘাড়ের কাছে একটি ফুটো রয়েছে। ওই বৃদ্ধকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের। ধ্রুব বলেন, “প্রত্যেক দিন বাবা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের ওই বাড়িতে থাকতেন। সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফিরতেন। এ দিন সন্ধ্যার পর বাড়ি না ফেরায় বাবাকে ফোন করি। কিন্তু ফোনের সুইচ্‌ড অফ ছিল। সেই কারণে রাত ৮টা নাগাদ কালীপুর গ্রামে বাবার খোঁজে আসি। এসে দেখি বাড়ির মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাবা।” কাজলের মোবাইল ফোন এবং হাতে থাকা একটি সোনার আংটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ফরিদপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কাজলকে গুলি করা হয়েছে, না কি ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement