গুসকরা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সেই জলাধার। ছবি: প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
মাঝে-মধ্যেই প্লাস্টার খসে পড়ে। ফাটল ধরেছে স্তম্ভে। গুসকরা হাটতলা লাগোয়া এলাকায় পুরনো জলাধারের এমনই অবস্থা বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় জলাধার ভেঙে পড়ার ঘটনার পরে জোরাল হচ্ছে তাঁদের সেই দাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ দশক আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর এক লক্ষ ৩৬ হাজার লিটার জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই জলাধারটি তৈরি করেছিল। পরে সেটি পুরসভাকে হস্তান্তর করা হয়। এলাকার সবচেয়ে পুরনো এই জলাধারটি রয়েছে শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, আগে সেখান থেকে গোটা শহরে জল সরবরাহ করা হলেও এখন মূলত ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশে তা করা হয়। পুর এলাকায় তৈরি করা হয়েছে আরও তিনটি জলাধার।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরনো জলাধারটি বেহাল হয়ে পড়েছে। জলাধারের ছ’টি স্তম্ভ ও বিম থেকে প্লাস্টার খসে গিয়ে রড বেরিয়ে পড়েছে। স্তম্ভে ফাটলও ধরেছে। ট্যাঙ্কের নীচের অংশ থেকেও প্লাস্টার খসে পড়ছে বলে অভিযোগ। ওই জলাধারের পাশেই রয়েছে জনবসতি ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কোনও বিপত্তি হলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তৃণমূলের নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, “ট্যাঙ্কটির যা অবস্থা, যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁকুড়ার ঘটনার পরে সেই আশঙ্কা আরও বেড়েছে।’’ পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলার সিপিএমের মনোজ সাউয়ের পাল্টা অভিযোগ, “উনি (নিত্যানন্দবাবু) পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তখন সংস্কারের ব্যবস্থা করতে পারতেন।’’ জলাধারটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলেও দাবি তাঁর।
পুরকর্মীদের একাংশও মনে করেন, জলাধারটি দ্রুত মেরামত না করা হলে বিপদ ঘটতে পারে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বর্ধমান ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার সোমনাথ কুণ্ডু বলেন, ‘‘বহু বছর আগে জলাধারটি পুরসভাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্যাঙ্ক মেরামতের দায়িত্ব পুরসভার।’’ গুসকরা পুরসভার প্রশাসক মালবিকা খাটুয়া বলেন, ‘‘জলাধার নিয়ে কোনও অভিযোগ এখনও মেলেনি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’