নিহত রাজেন্দ্র সাউ। — নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলের বিজেপি কর্মী রাজেন্দ্র সাউয়ের হত্যার পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। ওই হত্যাকাণ্ডে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। নিহতের পরিবারের দাবি, রাজেন্দ্রর সঙ্গে পাঁচ লক্ষ টাকা ছিল। সেই টাকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। খুনের ঘটনায় বেশ কিছু নতুন সূত্র হাতে পেয়েছে পুলিশ। সেই পথেই শুরু হয়েছে তদন্ত। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার বিজেপি কর্মীরা অবরোধ করেন রানিগঞ্জের রানিসায়র মোড়। তাঁরা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে স্করপিও গাড়িটির মধ্যে গুলিবিদ্ধ দেহটি পাওয়া গিয়েছে, সেই গাড়িটি পশ্চিম মেদিনীপুরের এক ব্যক্তির। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই গাড়িটি বন্ধক ছিল রাজেন্দ্রর কাছে। রাজেন্দ্রর মোবাইল ফোনটি ঘটনাস্থলের অদূরে ঝোপের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। রাজেন্দ্রর ভাই জিতেন্দ্র সাউয়ের দাবি, খুনের দিন পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে তিনি বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। সেই টাকার খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ পরিবারের। রাজেন্দ্রর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি জমি কেনাবেচার কাজ করতেন। পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গেও। এ ছাড়া তাঁর রেশন এবং মুদিখানার দোকান ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নিহত রাজেন্দ্র যুক্ত ছিলেন জুয়াখেলার সঙ্গে। ফলে রাজেন্দ্রকে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে খুন করা হতে পারে বলেও প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। এ নিয়ে দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল কুলদীপ সোনেওয়ান বলেন, ‘‘হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে দুষ্কৃতীরা। সম্ভবত নিজেদের কোন ঝামেলার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। সেই ঝামেলার নেপথ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা সব দিক খোলা রেখে তদন্ত করছি।’’
রবিবার রাজেন্দ্রর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। রাজেন্দ্রর স্ত্রী এবং তিন শিশু সন্তান রয়েছে। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। রাজেন্দ্রর বাড়িতে যান আসানসোলের তৃণমূল নেতা কাঞ্চন তিওয়ারিও। রবিবার রাজেন্দ্রর হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে রানিগঞ্জের রানিসায়র মোড় অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা।