রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ। — ফাইল চিত্র।
পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের স্বর্ণ বিপণিতে ডাকাতির ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এ নিয়ে এই ডাকাতির ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হল। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বিবেক চৌধুরি, বাড়ি বিহারে। তাঁকে উত্তর-পূর্বের মেঘালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৯ জুন রানিগঞ্জে একটি সোনার গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতি যখন চলছে, তখন কোনও কাজে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিক মেঘনাদ মণ্ডল। সোনার দোকানের কাছাকাছি গিয়ে মেঘনাদ আঁচ করেন, কিছু একটা গোলমাল চলছে সোনার দোকানের ভিতরে। পকেট থেকে বন্দুক বার করে তিনি এগোন দোকানের দিকে। ঠিক তখনই ডাকাতি সেরে দোকান থেকে বেরিয়ে আসছিল এক ডাকাত। মেঘনাদের মুখোমুখি পড়তেই গুলি চালান পুলিশ আধিকারিক। মেঘনাদের গুলি গিয়ে লাগে ডাকাতের কোমরে। সে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। ওই ডাকাতের পিছু পিছু অন্য এক ডাকাতও দোকান থেকে বেরোচ্ছিল। কিন্তু বাইরে গুলি চলছে বুঝে সে-ও বন্দুক বার করে মেঘনাদকে তাক করে গুলি ছুড়তে থাকে। মেঘনাদ দোকানের পাশে একটি বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারের খুঁটিকে ‘কভার’ বানিয়ে লাগাতার গুলি ছুড়তে থাকেন ডাকাতদের দিকে। সেই অবস্থায় ডাকাতেরা মেঘনাদকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পথে একটি গাড়ি ছিনতাই করে। তার পর সেই গাড়িতে চড়ে পালায় সবাই।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল। সূত্রের খবর, সেই ঘটনায় মেঘালয় থেকে পঞ্চম জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বিবেক চৌধুরি। বিহারের সিওয়ানের বাসিন্দা বিবেক ডাকাতির ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত, সোনার দোকান থেকে গয়না থলিতে পোরার কাজ করত সে। পুলিশ তাঁকে মেঘালয়ের স্থানীয় আদালতে তুলে ‘ট্রানজিট রিমান্ডে’ আসানসোল নিয়ে আসতে চায়। সূত্রের খবর, মেঘালয়ের রি ভৈ জেলার খানাপারা থানা এলাকা থেকে সিওয়ানের চাঁদপুরের বাসিন্দা বিবেককে গ্রেফতার করেছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা।
ডিসিপি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘আমরা সিওয়ানের চাঁদপুরের বাসিন্দা বিবেককে মেঘালয়ের রি ভৈ জেলার খানাপারা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছি। ধৃত ব্যক্তি রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। তাঁকে আদালতে তোলা হচ্ছে।’’