Murder

TMC Leader Murder: চঞ্চল ও তাঁর খুনিদের নিমন্ত্রণ ছিল এক বাড়িতে! আউশগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনে নয়া তথ্য

পুলিশ জেনেছে, দেবশালা পঞ্চায়েতের টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এর আগেও কয়েক বার আসানুর, মনির এবং বিশ্বরূপদের সঙ্গে সঙ্ঘাত বেধেছিল চঞ্চলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:১৭
Share:

আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিযুক্তদের। —নিজস্ব চিত্র।

আউশগ্রামে তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সী খুনে নতুন তথ্য পেল পুলিশ। খুনের দিন চঞ্চল এবং অভিযুক্ত তিন জনের নিমন্ত্রণ ছিল একই বাড়িতে। সেখানে গিয়েছিল চঞ্চল খুনে অন্যতম অভিযুক্ত মনির হোসেন মোল্লা। তবে সে নিমন্ত্রণ রক্ষা করলেও দুপুরের খাওয়াদাওয়া না করেই চলে যায়। অন্য দুই অভিযুক্ত আসানুর মোল্লা এবং বিশ্বরূপ মণ্ডলের নিমন্ত্রণ থাকলেও, তারা সেখানে যায়নি।

Advertisement

পুলিশ জানতে পেরেছে, চঞ্চল যে দিন খুন হন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার আউশগ্রামের গেরাইগ্রাম এলাকার তৃণমূল নেতা আবদুল লালনের বাড়িতে যান দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী এবং তাঁর ছেলে চঞ্চল। ওই বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিল মনির হোসেন, আসানুর এবং বিশ্বরূপও। তবে লালনের বাড়িতে আসানুর এবং বিশ্বরূপকে দেখতে পাননি অন্য আমন্ত্রিত তৃণমূল নেতারা। তবে সেখানে উপস্থিত হয়েছিল মনির হোসেন। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মনির লালনের বাড়িতে গেলেও দুপুরের খাবার খায়নি। এমনকি জলখাবার পর্যন্ত ছোঁয়নি। এই তথ্য জানার পর, তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, অনুষ্ঠান বাড়িতে থাকাকালীন চঞ্চলের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতেই মনির সেখানে একাই উপস্থিত হয়েছিল। লালনের বাড়ি থেকে চঞ্চল বার হওয়ার ঘন্টাদুয়েক আগে মনির হোসেন বেরিয়ে যায়। সেই সময় ওই অনুষ্ঠানবাড়িতে মনিরকে অন্য কেউ চঞ্চলের খবারখবর দিয়েছিলেন কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানতে পেরেছে, দেবশালা পঞ্চায়েতের টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এর আগেও কয়েক বার আসানুর, মনির এবং বিশ্বরূপদের সঙ্গে সঙ্ঘাত বেধেছিল চঞ্চলের। এমনকি পঞ্চায়েতের ভিতরে গুলিও চলে। চঞ্চল খুনের নেপথ্যে পঞ্চায়েতের টেন্ডার এবং এলাকার কাজকর্মের উপর কর্তৃত্ব নিয়ে লড়াই। তার জেরেই পরিকল্পনা করে সুপারিকিলার দিয়ে খুন করানো হয়েছে তাঁকে। তদন্তকারীরা এ ব্যাপারে এক রকম নিশ্চিত। ওই কাণ্ডে দলেরই তিন জন গ্রেফতার হওয়ার পর বিষয়টি পুলিশের কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। চঞ্চলের বাবা শ্যামল দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান। চঞ্চল-হত্যায় গ্রেফতার হয়েছে ওই পঞ্চায়েতেরই দুই সদস্য আসানুর এবং মনির হোসেন। পুত্রের হত্যায় দোষীদের উপযুক্ত সাজা হোক এমনটাই চাইছেন শ্যামল। সোমবার ধৃত মনির হোসেন, আসানুর এবং বিশ্বরূপকে সোমবার আদালতে তোলা হয়। বিচারক সকলকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement