হাসপাতালে পরিদর্শনে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। —নিজস্ব চিত্র।
জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে ১৩০ জন শিশু। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে থেকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে গিয়েছে চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল।
জ্বর, পেটের গোলমাল এবং কারও কারও ক্ষেত্রে খিঁচুনি— এই উপসর্গ নিয়ে শতাধিক শিশু ভর্তি। জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আউটডোরেও এমন ভিড় বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০। রবিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২১। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে থেকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে যায় পাঁচ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল। দলের প্রতিনিধিরা উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) চিকিৎসক সুশান্ত রায়-সহ জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেন। সুশান্ত বলেন, ‘‘প্রতিটি শিশুর কোভিড পরীক্ষা হচ্ছে। ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া পরীক্ষাতেও খুব একটা কিছু পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে, আবহাওয়া বদলের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা। সুস্থতার হারও বেশি। কয়েক জনের পরিস্থিতি জটিল হয়েছিল। তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পেডিয়াট্রিক কেয়ার ইউনিট (পিকু)-এর জন্য পরিকাঠামো প্রস্তুত।’’
সোমবারই হাসপাতালে যান জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। অসুস্থ শিশুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। হাসপাতালে যাতে দ্রুত পিকু চালু করা যায় সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান জেলাশাসক। মৌমিতা বলেন, ‘‘পিকুর কাজ কতটা এগিয়েছে তা দেখলাম। আবহাওয়া বদলের জন্যই এই রোগ হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’’