প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে ধরা পড়া সুদীপ প্রামাণিক। প্রতীকী ছবি।
শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, আরও চার জেলার অনেকের থেকেই টাকা হাতিয়েছেন প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে ধরা পড়া সুদীপ প্রামাণিক। তাঁকে জেরা করে এমনই দাবি করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সুদীপকে এই কাজে সাহায্য করতেন এক মহিলা।
রবিবার রাতে বর্ধমানের রথতলা থেকে সুদীপকে ধরে কালনা থানার পুলিশ। এখন তিনি পুলিশের হেফাজতে। পুলিশ জানায়, নিজেকে এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্তা বলে দাবি করতেন সুদীপ। অল্প দামে ভাল গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তিনি টাকা নিতেন বলে খবর। পুলিশের দাবি, পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও বীরভূম, মালদহ, নদিয়া ও হুগলির অনেকেই সুদীপের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘মিষ্টি কথায় লোক ভোলানোর দক্ষতা রয়েছে সুদীপের। অজস্র মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। তাঁকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।’’
থানা সূত্রে খবর, মালদহ জেলার ইংলিশ বাজারের কমলবাড়ির বাসিন্দা হীরুলাল ঘোষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ২০২২-র ১০ জুলাই হুগলির বৈঁচীর কাদিরপুর এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পে সুদীপ তাঁকে ১০ চাকার পুরনো একটি ট্রাক দেখিয়ে বলেন, সেটি বিক্রি করা হবে। দাম ধার্য করেন ৩,২০,০০০ টাকা। অনলাইনে এবং নগদে দেড় লক্ষ টাকা দেন হীরুলাল। পরে তিনি ফের একবার ট্রাকটি দেখতে চাইলে নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান সুদীপ। হীরুলাল বলেন, ‘‘আমি পেশায় ট্রাকচালক। ভেবেছিলাম নিজের একটি ট্রাক হবে। কষ্ট করে জমানো দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সুদীপ। অনেকের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। ওর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক পুলিশ।’’