কীর্তনের আসরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নিজস্ব চিত্র
ভিন্ন ভূমিকায় আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। যিনি রাজনীতি করেন, তিনি উপস্থিত কীর্তনের আসরে। মন্দিরে বসে হরিনাম সংকীর্তনে ব্যস্ত অনেকে। সেই দলে রয়েছেন ভক্ত জিতেনও। খঞ্জনি বাজিয়ে তাল মিলিয়ে তিনিও গাইছেন কীর্তন।
ঘটনাস্থল আসানসোলের ধাদকা। সেখানেই জাতীয় সড়কের ধারে রয়েছে তপসী বাবার মন্দির। গত ২০ জুন ওই মন্দিরেই আয়োজন করা হয়েছিল এক অনুষ্ঠানের। সকালে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক মলয় ঘটক। বিকেলে সেই মন্দিরে পৌঁছন জিতেনও। মন্দিরে তখন বসেছিল কীর্তনের আসর। সেই আসরে যোগ দেন তিনি।
জিতেনকে নতুন ভূমিকায় দেখে উপস্থিত দর্শকদের অনেকেই অবাক হয়ে যান। অবশ্য ওই বিজেপি নেতা বলছেন, ‘‘এ সব নতুন কিছু নয়। আসানসোলের অন্তত ২৫টি মন্দিরের কীর্তনের আসরে আমি যোগ দিয়েছি। এ আমার শখ। এতে ভালই লাগে। মনের শক্তি বাড়ে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এ সব অনুষ্ঠআনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, দলীয় কর্মসূচিতেও যোগ দিচ্ছি। কিছু দিন আগে দলের রাজ্য কমিটির মিটিং হল কলকাতায়। সেখানে যোগ দিয়েছিলাম। জেলাতেও দলের বহু বৈঠকেও যোগ দিই। আমার থেকে পরামর্শ নিচ্ছে দল।’’
রাজনৈতিক মঞ্চের ব্যস্ততা বাদ দিলে, গান, বাজনা, সাহিত্য, সংস্কৃতি-সহ নানা ক্ষেত্রে আগ্রহ রয়েছে বহু রাজনীতিকেরই। কেউ কেউ ওই সব ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শী। কেউ আবার রাজনীতিতে এসেছেন ওই জগৎ থেকেই। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক। এ সব উদাহরণ টেনে আসানসোলে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি, জিতেনের ‘শখ’ তেমনই।