উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। নিজস্ব চিত্র।
সামনে ডেকরেটর্স ব্যবসা। পিছনে রমরমিয়ে চলত অস্ত্র কারখানা। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার লোহাপোতা গ্রামে হানা দিয়ে এমনই অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বহু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বুলেট। তবে তার মালিক বেপাত্তা।
লোহাপোতার বাসিন্দা রমজান আলি শেখকে এলাকার সকলেই চিনতেন ডেকরেটর্স ব্যবসায়ী হিসাবেই। সেই ব্যবসার আড়ালেই চলছিল অস্ত্র কারখানা। মঙ্গলবার রমজানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৭ রাউন্ড গুলি এবং বানানো হচ্ছিল এমন বেশ কয়েকটি অস্ত্র পেয়েছে। মিলেছে অস্ত্র বানানোর নানা ধরনের সরঞ্জাম। পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘পুলিশ অভিযান চালানোর আগেই গা ঢাকা দেয় রমজান। তাকে ধরতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
লোহাপোতা গ্রামে রমজানের একটি মাটির তৈরি তিন কামরার বাড়ি আছে। সেখানেই একটি ঘরে সে অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছিল। অথচ বাড়ির সামনে কয়েকটি চেয়ার, টেবল, মাইকের চোঙ ইত্যাদি রেখে দিব্যি ডেকরেটর্স ব্যবাসায়ী সেজে বসেছিল বলেই পুলিশের দাবি। রমজানের অস্ত্র কারখানা থেকে লেদ মেশিন, গ্যাস সিলিন্ডারও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই অস্ত্র কারখানার সঙ্গে বিহারের মুঙ্গেরের কোনও চক্রের যোগসাজশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা ওই কারখানায় কাজ করত তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।