বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ সুশীল মোদী এবং বর্ধমানের চম্পা সোম। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ সুশীল মোদীকে খুনের হুমকি দিয়ে নাকি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি! মঙ্গলবার পটনা পুলিশের তরফে ফোন করে এ কথা জানানো হয়েছে বর্ধমানের রায়ান গ্রামের বাসিন্দা চম্পা সোমকে। নীতীশ কুমারের পুলিশকে চম্পা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। চিঠির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। যদিও তাতে পুরোপুরি শঙ্কা-মুক্ত হতে পারেননি তিনি।
বর্ধমান জেলা আদালতের মুহুরি (ল’ক্লার্ক) চম্পা মঙ্গলবার দুপুরে জানান, পটনা পুলিশের তরফে তাঁকে ফোন করে বলা হয়েছে, ওই হুমকি চিঠিতে তাঁর নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর রয়েছে। তাঁর যে ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর পটনা পুলিশ বলেছে, তা নির্ভুল। ফলে চম্পার আশঙ্কা, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য এ কাজ করেছেন পরিচিত কেউ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীকে চিনি না। আমি ওঁকে কোনও হুমকি চিঠি পাঠাইনি। অন্য কেউ কেউ চক্রান্ত করে এই কাজ করেছে।’’
চম্পার অনুমান, ওই হুমকি চিঠি পাঠানোর পিছনে রয়েছেন বর্ধমান কোর্টের আইনজীবী সুদীপ্ত রায়। এর আগে সুদীপ্ত আসানসোলের সিবিআই কোর্টের বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকির চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দিলে, বিচারককে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। সেই চিঠি-কাণ্ডে গ্রেফতার সুদীপ্ত বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বধূ নির্যাতন থেকে জালিয়াতি, প্রতারণার অন্তত ১৫টি মামলা ঝুলছে আইনজীবী সুদীপ্তের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিজেপি নেতা সুশীলের পটনার রাজেন্দ্রনগরের বাড়িতে পাঠানো ওই চিঠিতে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। চিঠি পেয়েই পটনা পুলিশের সিনিয়র সুপার পর্যায়ের আধিকারিককে বিষয়টি জানান তিনি। ইংরেজিতে পাঠানো ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘আমি তৃণমূলের নেত্রী। ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের পোষা কুকুর তুমি। মমতা এবং নীতীশ কুমার জিন্দাবাদ। আমি তোমাকে খুন করব।’