Child Pornography

শিশু পর্নোগ্রাফি ঠেকাতে সক্রিয় দিল্লির মহিলা কমিশন, তলব টুইটার প্রধান ও পুলিশকর্তাকে

টুইটারের বিরুদ্ধে শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত কনটেন্ট থাকার অভিযোগে গত বছর দিল্লি পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখার দ্বারস্থ হয়েছিল ‘জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন’ (এনসিপিসিআর)।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৪৪
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিষয়বস্তু পোস্ট করার অভিযোগে ভারতে টুইটারের প্রধানকে (টুইটার ইন্ডিয়া পলিসি হেড) তলব করল দিল্লি মহিলা কমিশন। পাশাপাশি, মঙ্গলবার কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল দিল্লি পুলিশের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে হাজির হয়ে এ বিষয়ে জবাবদিহির নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

দিল্লি মহিলা কমিশন জানিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে মহিলা ও শিশুদের ধর্ষণ এবং যৌনতা সংক্রান্ত আপত্তিকর বিষয় পোস্ট করার একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। সে কারণেই এই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ। মঙ্গলবার স্বাতী বলেন, ‘‘টুইটারে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ভিডিয়োতে শিশুদের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির নেপথ্যে অর্থ লেনদেনের অভিযোগও পেয়েছি আমরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে একটি সংগঠিত অপরাধ চক্রের হাত রয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, টুইটারের বিরুদ্ধে শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত কনটেন্ট থাকার অভিযোগে গত বছর দিল্লি পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখার দ্বারস্থ হয়েছিল ‘জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন’ (এনসিপিসিআর)। কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে টুইটারের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ‘দ্য প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ (‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন’ বা পকসো)-সহ নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারায় বেশ কিছু এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

ইন্টারনেটে বাড়তে থাকা শিশু পর্নোগ্রাফির রমরমা রুখতে ২০১৯ সালে বিশেষ সেল গড়েছিল সিবিআই। ‘শিশু যৌন নিগ্রহ এবং যৌন শোষণ বিরোধী’ এই সেলের কাজ হল ইন্টারনেটে নজরদারির মাধ্যমে শিশু পর্নগ্রাফি ছড়ানোর ঘটনা চিহ্নিত করা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা। কিন্তু তা সত্ত্বেও টুইটার-সহ বিভিন্ন নেটমাধ্যমে ক্রমাগত শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিষয়বস্তু পোস্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে টুইটারের মতবিরোধ রয়েছে। ওই আইন বলছে, প্রকাশিত সমস্ত কনটেন্টের উৎস কেন্দ্রকে জানাতে বাধ্য ফেসবুক, টুইটারের মতো সংস্থাগুলি। এমনকি, আপত্তিকর পোস্টের উপর নজরদারি করা বা তা সরিয়ে দিতেও দায়বদ্ধ থাকবে তারা। তবে কেন্দ্রের এই নির্দেশকে বাক্‌-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেই মনে করেন টুইটার-কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement