রাহুল, প্রিয়ঙ্কা এবং প্রতিভা সিংহ। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আঁচ এ বার হিমাচল প্রদেশে। মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী তথা লোকসভা সাংসদ প্রতিভা সিংহ অভিযোগ করেছেন, ‘‘কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের জন্য সময় নেই রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর। সে কারণেই দলের অন্দরে অসন্তোষ বাড়ছে।’’
বছর ঘোরার আগেই হিমালয় ঘেরা ওই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে প্রতিভার এমন মন্তব্য ‘দল ছাড়ার ইঙ্গিত’ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান। রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই গোয়ার আট কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কোঙ্কণ উপকূলের সেই ‘ঢেউ’ হিমাচলে লাগলে সভাপতি নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের অন্দরে গাঁধী পরিবারের কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিভার মতে, কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে রাহুলকে নবীন এবং প্রবীণ প্রজন্মের মেলবন্ধনের কৌশল শিখতে হবে। পাশাপাশি, রাহুলকে দলের জন্য আরও সময় দেওয়ার কথাও ভাবতে হবে, বলেছেন প্রতিভা। তিনি বলেন, ‘‘রাহুলজিকেই ঠিক করতে হবে, তিনি দলকে সময় দিতে দিতে চান, না কি জীবনে অন্য কিছু করতে চান। তিনি যদি দলকে সময় দিতে না পারেন, তবে দলে অনেক দক্ষ ও অধ্যবসায়ী নেতা আছেন, সেই জায়গা পূরণের জন্য।’’
আগামী ১৭ অক্টোবরের কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের আগে প্রতিভার এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। হিমাচলের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের স্ত্রী প্রতিভার সঙ্গে সনিয়ার সুসম্পর্ক থাকলেও কিছু দিন ধরে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে দলের অন্দরের খবর। ঘটনাচক্রে, প্রতিভার কন্যার বিয়ে হয়েছে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের নাতির সঙ্গে। দুই পরিবারের সম্পর্কও ঘনিষ্ঠ। অমরেন্দ্রর বিজেপিতে যোগদানের পর দিনই প্রতিভার এই মন্তব্যে তাই ‘নতুন সমীকরণের’ ইঙ্গিত দেখছেন অনেকেই।