এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতীকী ছবি।
শিশুকন্যাকে খুন করে নদীতে ফেলার অভিযোগ উঠল তার বাবার বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের কালনার মন্তেশ্বরের পানবয়েরা গ্রামের ঘটনা। বৃহস্পতিবার কালনার খড়ি নদী থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাকে খুনের অভিযোগে তার বাবা দেশাই মুর্মুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দেশাই এবং তাঁর স্ত্রী রাসমেরি মুর্মু ঝাড়খণ্ড থেকে কালনায় ধান কাটার কাজ করতে এসেছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশাইয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া চলছিল। তার জেরেই শিশুকন্যাকে খুন করে নদীতে ফেলেছেন বাবা।
প্রতি বছর ঝাড়খণ্ড থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ধান কাটার কাজে পানবয়েরা গ্রামে আসেন। গত কয়েক বছর ধরে অভিযুক্ত দেশাই এবং তাঁর স্ত্রী রাসমেরিও এই কাজ করতে পানবয়েরা গ্রামে আসছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তান ছোট থাকায় এ বছর স্ত্রীকে সঙ্গে আনেননি দেশাই। অভিযোগ, স্ত্রীর পরিবর্তে রাশমি মাণ্ডি নামে অন্য এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে কাজে আসেন। এই খবর পেয়ে দেশ থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে কালনায় চলে আসেন দেশাইয়ের স্ত্রী রাসমেরি। কালনায় আসার পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে শিশুটিকে তার বাবার কাছে রেখে প্রাতঃকৃত্য করতে যান রাসমেরি। ফিরে এসে দেখেন শিশু এবং তার বাবা উধাও। অনেক খোঁজ করার পরে দেশাইয়ের সন্ধান পেলেও শিশুটির খোঁজ মেলেনি। এর পর দেশাইকে গ্রামবাসীরা চাপ দিলে তিনি বলেন, ‘‘শিশুটিকে খুন করে খড়ি নদীর জলে ফেলে দিয়েছি।’’ গ্রামবাসীরা দেশাইকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এর পর থানায় খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে দেশাই এবং রাসমেরিকে আটক করেন। শিশুটির খোঁজে নদীতে নামে ডুবুরি। তার দেহ উদ্ধারের পর বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।