পরিবার নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভে কৃষক বিদ্যাধর যাদব। ছবি: সংগৃহীত।
জমি নিয়ে এক কোম্পানির সঙ্গে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদ থেকেই ইচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছিলেন রাজস্থানের এক কৃষক। ওই কৃষকের দাবি, তাঁর জমিতে ‘অবৈধ ভাবে’ নির্মাণ করার জন্য এক সিমেন্ট কোম্পানির থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। কিন্তু পাওনা না পাওয়ায় রাস্তার মাঝেই আত্মহনন করতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরিবারকে নিয়ে পথেই শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করেন। সেই কৃষককে আটকে দেয় পুলিশ। তবে ঘটনার দিন কয়েক পর তাঁর কাছে একটি নোটিস পাঠায় তারা। সেখানে লেখা, ওই কৃষককে ন’লক্ষ ৯১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে!
ঘটনাটি ১০ ডিসেম্বরের। রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার বাসিন্দা বিদ্যাধর যাদব। তিনি পেশায় এক জন কৃষক। ১০ ডিসেম্বর সকালে রাস্তার মাঝে পরিবারকে নিয়ে বিক্ষোভে বসেছিলেন। তাঁর দাবি, তাঁকে ইচ্ছামৃত্যু করতে দিতে হবে। বিদ্যাধরকে আটকে রাখার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিরস্ত করতে সফল হয় পুলিশ।
সেই ঘটনা কেটে যাওয়ার সপ্তাহ দুই পরে বিদ্যাধর একটি পুলিশি নোটিস পান। তাতে জরিমানার কথা উল্লেখ করেছে পুলিশ। কেন তাঁকে জরিমানা করা হল, তার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে ওই নোটিসে। বলা হয়েছে, বিদ্যাধরের পরিবারকে ইচ্ছামৃত্যু থেকে বিরত করতে অনেক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যার জন্য বহন করতে হয় অনেক খরচ। সেই খরচ তুলতেই জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
ঝুনঝুনু জেলার পুলিশ সুপার শরদ চৌধরির জারি করা নোটিসে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের জন্য বিভিন্ন পদস্থ পুলিশ অফিসার মোতায়েন করা হয়। এসএসপি, দু’জন ডিএসপি পদস্থ অফিসার-সহ ৯৯ জন পুলিশকর্মীকে নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়াও অনেক সরকারি যানেরও ব্যবস্থা করা হয়। সেই সব খরচ বাবদই ন’লক্ষ ৯১ হাজার টাকা জরিমানা চাওয়া হয়েছে। যদি সেই জরিমানা না দেন বিদ্যাধর, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও নোটিসে উল্লেখ করেছেন শরদ।