অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেন। ফাইল চিত্র।
গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে জেরা করতে আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তদন্তকারীরা। এই মামলায় সহগলের একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই সহগলকে জিজ্ঞাসাবাদ বলে সূত্রের খবর। অন্য দিকে সূত্রের খবর, এই মামলায় শীঘ্রই চার্জশিট দিতে পারে সিবিআই। তাতে নাম থাকতে পারে অনুব্রতের।
জানা গিয়েছে, সহগলকে জেরার অনুমতি পাওয়ার পরই দিল্লি থেকে ইডির একটি দল এসেছে। শুক্রবার এই প্রতিবেদন লেখার সময়, তাঁরা আসানসোল জেলা সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রতের দেহরক্ষীকে জেরা করছেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, সহগলের স্ত্রী ও মায়ের নামেও সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সম্পত্তির উৎস কী, এ ব্যাপারে জানতে তাঁদের তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে দাবি, সহগলের স্ত্রী ও মায়ের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। সহগলের গ্রেফতারের পর সেই সম্পত্তির লেনদেন করতে চেয়েছিলেন বলে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দাবি করেছিল, সহগল ও তাঁর পরিবারের নামে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, অনুব্রত, সহগল ছাড়াও গরু পাচারের লভ্যাংশের টাকা আরও অনেকের কাছে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রতের নামেও একাধিক সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। অনুব্রতর একাধিক ঘনিষ্ঠের নামেও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, তৃণমূল নেতার প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও কন্যা সুকন্যার নামেও বহু সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। বোলপুর এলাকায় একাধিক চালকলও নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের। অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই প্রেক্ষাপটে সহগলকে ইডি-র জেরায় আরও নতুন তথ্য উঠে আসে কি না, সেটাই দেখার।