দেহ রেখে বিক্ষোভ খনি শ্রমিকদের। — নিজস্ব চিত্র।
কোলিয়ারির চাল ধসে আবার এক খনি শ্রমিকের মৃত্যু। নিরাপত্তা এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেহের ময়নাতদন্ত না করিয়ে হাসপাতাল থেকে দেহ এনে কোলিয়ারিতে বিক্ষোভ। চলতি মাসের ৮ তারিখে কুনুস্তরিয়াতে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও এক শ্রমিক মারা গিয়েছিলেন।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থানা এলাকার কেন্দা এলাকার জামবাদ কোলিয়ারি। সেই খনিতেই শ্রমিকের কাজ করতেন রঞ্জিত বাউরি। বুধবার ভোরে খনির ভিতরে চাল ধসে পড়ে। ভেঙে পড়া চালের তলায় চাপা পড়ে যান রঞ্জিত। গুরুতর ভাবে আহত রঞ্জিতকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, পথেই মৃত্যু হয়েছে খনি শ্রমিকের। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য শ্রমিকরা। তাঁরা নিরাপত্তার দাবি তুলে কোলিয়ারির মধ্যেই বিক্ষোভ শুরু করেন। সূত্রের খবর, রঞ্জিতের দেহ ময়নাতদন্ত করাতে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা রঞ্জিতের দেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে আসেন খনিতে। ময়নাতদন্ত না করিয়ে সেখানে দেহ রেখে শুরু হয় বিক্ষোভ আন্দোলন। তাতে যোগ দেয় মৃত শ্রমিকের পরিবারও। ওঠে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি, পাশাপাশি রঞ্জিতের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তারও দাবি তোলেন শ্রমিকরা। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা বীর বাহাদুর বলেন, ‘‘কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। এই গড়িমসির কারণে একটা প্রাণ চলে গেল।’’
ঘণ্টা চারেক বিক্ষোভের পর কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আবার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।