অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
শান্তিনিকেতনের আমার কুটিরে এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের দাবি, পাশ্ববর্তী একটি আশ্রমে থাকতে এসেছিলেন ওই যুবতী। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা এখনও অস্পষ্ট। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন যুবতী।
শান্তিনিকেতনের আমার কুটিরের কাছেই রয়েছে একটি আশ্রম। সেখানে থাকেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা দেবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাঝেমাঝেই বাবার কাছে থাকতে আশ্রমে চলে আসতেন দেবকৃষ্ণের মেয়ে দেবাঙ্গী। দিন পনেরো আগেও দেবাঙ্গী এসেছিলেন আমার কুটিরের পাশের আশ্রমে। বুধবার কাকভোরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় আশ্রমের পাশের জঙ্গল থেকে। জানা গিয়েছে, দেবাঙ্গীর দেহ যেখানে পাওয়া যায়, সেখানে আশ্রমের একটি চেয়ারও পাওয়া গিয়েছে। ফলে স্থানীয়েরা অনুমান করছেন, সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছেন দেবাঙ্গী। কিন্তু কেন?
ওই আশ্রমের বাসিন্দা পুরুষানন্দ বলেন, ‘‘মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে মনে হয়। চিকিৎসা চলছিল। মাঝেমাঝেই এখানে আসত-যেত। সকাল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত মাতাজিদের সঙ্গে গল্পগুজব হয়েছে বলে শুনছি। ও তো মাতাজিদের সঙ্গেই শুত। সকাল ৫টার পর আমাদের জাগিয়ে বলা হয়, মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওর বাবা আর আমি উঠে খোঁজখবর শুরু করি। বাবাকে স্টেশনে পাঠাই, এক জনকে প্রান্তিকে পাঠাই। খুঁজতে গিয়ে দেখি জঙ্গলে এই অবস্থা।’’
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে এলে আমার কুটিরের রাঙাবিতানে থাকতে পছন্দ করেন। তার থেকে মেরেকেটে ১০০ মিটার দূরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। সেখানে দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তার পর স্পষ্ট হবে যে, কী করে মৃত্যু হল দেবাঙ্গীর।