রাস্তার ধারের নলকূপ থেকে জল খেতে গিয়ে পকেট থেকে চেন পড়ে গিয়েছিল যুবকের। চেনটি তুলে গলায় পড়তে গেলে ‘চেনম্যান, চেনম্যান’ বলে চিৎকার করে ওঠেন পাশে দাঁড়ানো মহিলা। জড়ো হয়ে যান আশপাশের বেশ কিছু লোক। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় ওই যুবককে। কোনও রকমে চেন, সাইকেল ফেলে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই কলেজ ছাত্র। বুধবার কালনার নেপাকুলি ঘোষপাড়া এলাকার ঘটনা। কালনা কলেজের কলা বিভাগের ওই ছাত্র ভর্তি হাসপাতালে।
২০১৩ সাল থেকে কালনায় বাড়িতে একা থাকা একাধিক মহিলাকে খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে সম্প্রতি ধরা হয়েছে কামরুজ্জামান সরকারকে। পুলিশের দাবি, গলায় লোহার চেন পেঁচিয়ে বা রডের আঘাত করে হামলা করত ওই ‘চেন-খুনি’। তবে ধরা পড়ার পরেও আতঙ্ক কমেনি। এ দিনের ঘটনার পরে পুলিশের দাবি, আততায়ীকে ধরা হয়েছে। অযথা গুজব বা আতঙ্কে কারও উপর হামলা বা মারধর উচিত নয়।
এ দিন কালনা শহরের ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা ওই ছাত্র জানায়, সকালে বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন তিনি। সাইকেলে যাওয়ার সময় নেপাকুলি ঘোষপাড়া এলাকায় জল খেতে দাঁড়ান। তখনই পকেট থেকে পড়ে যায় গলায় পড়ার নকল চেনটা। সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার শুরু করে দেন পাশে দাঁড়ানো মহিলা। তাঁর অভিযোগ, চিৎকার শুনে এলাকার বেশ কিছু মানুষ ছুটে এসে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। কোনও রকমে পালান তিনি। পরে বৈদ্যপুর মোড়ে কয়েকজন পরিচিত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
ওই ছাত্র বলেন, ‘‘বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম ওটা গলার চেন, আমি চেনকিলার নই। তাতে ওরা কর্ণপাত করেননি। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের কড়া শাস্তি চাই।’’ কালনা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ হালদার জানান, ওই ছাত্রের উপর কোনও কারণ ছাড়া যে ভাবে হামলা হয়েছে তা নিন্দনীয়। গুজবে কান না দেওয়ার আবেদন জানান তাঁরা। এলাকায় সচেতনতামূলক শিবির করারও আশ্বাস দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।