arrest

যাত্রীর ব্যাগ থেকে মিলল লাখ লাখ টাকা, সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে আটক করেছিল দুর্গাপুরের রেলপুলিশ

শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর রেলস্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। গতিবিধি সন্দেহজনক দেখে রেলপুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে। তাঁর ব্যাগে পাওয়া যায় লক্ষ লক্ষ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৫৮
Share:

ধৃতকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। — নিজস্ব চিত্র।

হাওড়ার পর এ বার পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর স্টেশনে এক যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা। ওই ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে রেলপুলিশ। কী কারণে ওই টাকা তিনি নিয়ে এ রাজ্যে এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর রেলস্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। গতিবিধি সন্দেহজনক দেখে রেলপুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় রেলপুলিশ তল্লাশি শুরু করে। সেই সময় ধৃতের ব্যাগে পাওয়া যায় বেশ কিছু টাকা। এর পর যন্ত্রের মাধ্যমে নোট গোনা করা হয়। রেলপুলিশের দাবি, ধৃতের ব্যাগ থেকে মোট ৩৬ লক্ষ টাকা গিয়েছে। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, ধৃতের নাম মূলচাঁদ। তিনি ওই টাকা সংক্রান্ত কোনও নথিও দেখাতে পারেননি। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেলপুলিশের দাবি, মূলচাঁদ মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা। তিনি সেখান থেকেই দুর্গাপুর স্টেশনে নামেন। পুলিশের দাবি, ধৃত জেরায় জানিয়েছেন, তাঁকে ওই টাকা হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল। এর পিছনে কারা আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। শুক্রবার রাতেই অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্ডাল জিআরপিতে। হাওয়ালার মাধ্যমে ওই টাকা পাচার করা হচ্ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর ঠিক এক মাস আগে হাওড়া স্টেশনে থেকে রাজকুমার সোনি নামে এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছিল রেলপুলিশ। তাঁর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৩৫ লক্ষ টাকা। ঘটনাচক্রে তিনিও জব্বলপুরের বাসিন্দা। চম্বল এক্সপ্রেসে জব্বলপুর থেকে হাওড়া স্টেশনে নেমেছিলেন তিনি। তার আগে গত ১৭ জুলাই হাওড়া স্টেশনে এক যাত্রীর থেকে পাওয়া যায় পাঁচ কিলোগ্রাম ১২৫ গ্রাম সোনা। যার বাজারমূল্য দু’কোটি ৬২ লক্ষ সাড়ে ৩৫ হাজার টাকা। ধৃতের নাম ললিত কুমার। তিনি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরের বাসিন্দা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement