ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী বাবররা। —ফাইল চিত্র
এশিয়া কাপের সুপার ফোর-এ ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে বড় নজির গড়েছে পাকিস্তান। আইসিসি-র পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে বড় রানের ব্যবধানে জেতার তালিকায় দু’নম্বরে রয়েছেন বাবর আজমরা। হংকংকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এই নজির গড়েছে পাকিস্তান।
শারজাতে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৩ রান করে পাকিস্তান। পরে হংকংকে তারা মাত্র ৩৮ রানে অলআউট করে দেয়। ১৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতেন বাবররা। আইসিসি-র পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে সব থেকে বড় ব্যবধানে জয়ের নজির রয়েছে শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে জোহানেসবার্গে কেনিয়াকে ১৭২ রানে হারিয়েছিল তারা। তার পরেই জায়গা করে নিল পাকিস্তান। এর আগে ২০১৮ সালে করাচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৩ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এত দিন পর্যন্ত সেটাই ছিল টি-টোয়েন্টিতে তাদের সব থেকে বড় ব্যবধানে জয়।
টি-টোয়েন্টিতে জয়ের ব্যবধানে ম্যাচ জেতার তালিকায় সব মিলিয়ে ১০ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। তালিকায় সবার উপরে চেক রিপাবলিক। ২০১৯ সালে তুরস্ককে ২৫৭ রানে হারিয়েছিল তারা। তবে তারা আইসিসি-র পূর্ণ সদস্য নয়।
হংকংয়ের বিরুদ্ধে রান পাননি পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর। তিনি ৯ রান করে আউট হয়ে যান। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়েন মহম্মদ রিজওয়ান এবং ফখর জমান। দু’জনেই হংকংয়ের বোলারদের উপর চড়াও হন। অর্ধশতরান করে ফিরে যান ফখর। চার নম্বরে নামেন খুশদিল শাহ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন তিনি। পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে ১৫ বলে ৩৫ করে অপরাজিত থাকেন। রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৫৭ বলে ৭৮ করে।
বিপুল রান তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে হংকংয়ের ইনিংস। ১৬ রানে তারা প্রথম উইকেট হারায়। এর পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। হংকংয়ের কোনও ব্যাটারই দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বল করেন বাঁ হাতি স্পিনার শাদাব খান। ২.৪ ওভার বল করে আট রানে চার উইকেট নেন তিনি। দু’ওভার বল করে পাঁচ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ নওয়াজ। সাত রানে দুই উইকেট নাসিম শাহের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যে ক’টি এশিয়া কাপ হয়েছে, সেখানে এটাই সর্বনিম্ন স্কোর। এ ছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও দলের এটাই সবচেয়ে কম রান।