Nanoor

তৃণমূল ছাড়ায় যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ অনুব্রতের জেলায়! অভিযুক্ত নানুরের দুই নেতা

পরিবারে অভিযোগ, আগে বশির রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বছর দুয়েক আগে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসেন। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই আর যুক্ত থাকেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নানুর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৪৭
Share:

বশিরকে মাঠে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।

দল ছাড়ার পর বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো, তাতেও সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়ায় এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বীরভূমের নানুরে। ঘটনায় আঙুল উঠল স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মৃতের নাম বশির শেখ।

Advertisement

নানুরের সাঁতরা গ্রামের বাসিন্দা বশির শেখ। পরিবারে অভিযোগ, আগে বশির রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বছর দুয়েক আগে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসেন। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই আর যুক্ত থাকেননি। কিন্তু বার বার তাঁকে তৃণমূলে আবার যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে দাবি পরিবারের। বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে বশিরকে।কিন্তু তাতেও তৃণমূলে ফেরেননি বশির।

বশিরের পরিবারের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামেরই দুই তৃণমূল নেতা রাজা শেখ ও খেলোন শেখ— এই দু’জন বাড়ি থেকে বশিরকে ডেকে নিয়ে যান। এর পর ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে বশিরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়। মৃতের দাদা নাসিম শেক বলেন, ‘‘ভাই ওদের কাছে টাকা পেত। সে নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। ওকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে।’’

Advertisement

বশিরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে জেলা মঙ্গলকোটে মহকুমা হাসপাতালে। পাশাপাশি তাঁর পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানান, ব্যক্তিগত কারণে হতে পারে ঘটনা। তবে আইন আইনের পথে চলবে।

উল্লেখ্য, বশিরের গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান। সম্প্রতি তাঁর নাম জড়িয়েছে গরু পাচার মামলায়। তৃণমূল নেতার বাড়ি লাগোয়া বশিরের ঘর। অভিযোগ, অভিযুক্তরা কেরিম খানের ঘনিষ্ঠ। মৃতের পরিবারের দাবি, বশিরের উপর বিভিন্ন সময় অত্যাচার হয়েছে। বার বার জানানো সত্ত্বেও কেরিমের কোনও সহযোগিতা তাঁরা পাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement