আসানসোলের ঘাঁঘর বুড়ি চণ্ডী মাতার মন্দিরে বিবাহ সম্পন্ন হল রঘুনাথ এবং রিম্পির। নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে আসানসোলের হরিপুরের কেন্দা এলাকার বাসিন্দা স্বপন চট্টোপাধ্যায়ের ছোট ছেলে ধীরাজ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দুর্গাপুরের বাসিন্দা রিম্পির। সে বছরই ২ নম্বর জাতীয় সড়কে চাঁদা মোড়ে একটি দুর্ঘটনায় মারা যান ধীরাজ (৩৩)। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে রিম্পি শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। তাঁরা রিম্পিকে মেয়ের মতোই ভালবাসেন। রিম্পিও কখনও সে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেও যাননি। নিজের মতো করে সে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের আপন করে নেন।
সেই ঘটনার প্রায় ৭ বছর পর চট্টোপাধ্যায় পরিবার রিম্পির বিয়ের আয়োজন করেন। পাত্রের বাড়ি আসানসোলের কাঁখয়া গ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা রঘুনাথ রায়ের সঙ্গে সম্বন্ধ পাকা করা হয়। রঘুনাথের সঙ্গেই সাতাশ বছরের রিম্পির বিয়ে দিল চট্টোপাধ্যায় পরিবার।
রিম্পির ভাসুর পৃথ্বীরাজ বলেন, “যে ভাবে বাড়ির মেয়ের বিয়ে হয়, ঠিক সেই ভাবেই আমরা রিম্পির বিয়ে দিলাম। ওঁর বাকি জীবনটা সুন্দর করে কাটুক।”
অন্য দিকে, পাত্রের কাকা কেশব রায় বলেন, “মেয়েটির স্বামী মারা গিয়েছে। তাঁর বাকি জীবনটা যাতে হতাশায় না কাটে তাই আমরা এই বিয়েতে রাজি হয়ে যাই। আমার ভাইপোর সঙ্গে বিয়ে স্থির করি। বৃহস্পতিবার মন্দিরে ধুমধাম করে ওঁদের বিয়ে দিলাম।”