সৌগত রায় এবং তথাগত রায়। ফাইল চিত্র।
পড়ে গিয়ে শিরদাঁড়ায় চোট পেয়েছিলেন তথাগত রায়। অসুস্থ দাদাকে দেখতে তাঁর বাড়ি গেলেন ভাই তথা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দীর্ঘ দিন পর দুই ভাইয়ের সাক্ষাতের কথা নিজেই টুইট করে জানালেন তথাগত। তাঁদের ছবি টুইটারে প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভাই সৌগত আমার খোঁজ নিতে এসেছিল। ভাই সব সময় ভাই-ই থাকে।’’
চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে পড়ে গিয়ে তথাগতের শিরদাঁড়ায় চিড় ধরেছিল। মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপালকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়েছিল সেই সময়। পরে হাসপাতাল থেকে ছুটির পর বাড়িতেই রয়েছেন বিজেপি নেতা। বৃহস্পতিবার তাঁকে দেখতে যান সৌগত।
রাজ্য বিজেপিতে ‘বড়দা’ বলেই পরিচিত তথাগত। কারণ দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিদের মধ্যে এখন তিনি সব চেয়ে প্রবীণ। কেউ কেউ আবার তাঁকে ‘চোখে আঙুল দাদা’-ও বলে থাকেন। অন্য দিকে, সৌগতও তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ। কিন্তু সেই অর্থে দুই ভাইকে খুব কমই একসঙ্গে দেখা যায়। দু’জনের ঘনিষ্ঠদের একাংশের দাবি, দু’জনের রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা। দু’জনেই দু’টি ভিন্ন দলের বর্ষীয়ান নেতা। সেই কারণেই হয়তো তাঁরা একসঙ্গে প্রকাশ্যে আসতে চান না। সেই কথা এক বার নিজের মুখে স্বীকার করেছেন সৌগতও। গত বছর তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহে সৌগত বলেছিলেন, ‘‘দলে থেকে এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যাতে কর্মী-সমর্থকদের মনে আঘাত লাগে। তাই তো আমি নিজের দাদার বাড়িতেই যাই না। কারণ তিনি বিজেপি করেন।’’
তথাগত রায়ের সঙ্গে দেখা করলেন সৌগত রায়। ছবি: টুইটার।
কিন্তু সৌগত স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, দাদার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেই খারাপ নয়। জনমানসে ভুল বার্তা যেতে পারে, সেই ভেবেই তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বিশেষ দেখা করেন না। প্রবীণ সাংসদের কথায়, ‘‘আমার দাদা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলে আমি তাঁর বাড়িতে যাই না। তা বলে দাদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ, এমনটা নয়। আমি যদি দাদার বাড়িতে যাই তাহলে ভুল বার্তা যেতে পারে। তাই এক দলে থেকে অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখাই ভাল।’’